বেজির চামড়া, লোম উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে বেজির চামড়া ও লোম উদ্ধার করল বন দফতর। দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, বঙ্গানগর এলাকার ওই বাড়ি থেকে যে পরিমাণ চামড়া ও লোম উদ্ধার হয়েছে, তাতে কমপক্ষে ৫০০টি বেজি মারা হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। বন দফতরের ডিএফও (ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার) এস কুলানদাইবে জানিয়েছেন, ওই বাড়ির মালিক বিকাশ বেরা-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “বেজির মতো অবলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী হত্যার জন্য সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।” |
বাড়ি থেকে উদ্ধার বেজির লোমের তুলি। |
জানা গিয়েছে, বঙ্গানগরের ওই বাড়ির প্রায় ২ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে তুলি তৈরির একটি কারখানা চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে হানা দেন বন দফতরের অফিসারেরা। ১৫০টি তুলি, ১২৫টি অর্ধসমাপ্ত তুলি এবং তিন কিলোগ্রাম ওজনের বেজির লোম ও চামড়া পাওয়া গিয়েছে। বেজির লোম দিয়ে তৈরি তুলির চাহিদা খুব বেশি। মোষের লোমে তুলির বাজার দর যদি ২৫ টাকা হয়, সেখানে বেজির লোমে তৈরি তুলির দাম ২৫০ টাকা। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত রাজ্য পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য জয়দীপ কুণ্ডুর কথায়, “এখন কৃত্রিম লোমের তুলি পাওয়া যায়। যাঁরা নিয়মিত তুলি ব্যবহার করেন, তাঁদেরও সচেতন হতে হবে। তাঁরা যদি বেজির লোমের তুলি বর্জন করেন, তা হলে এই ধরনের বেআইনি কাজও বন্ধ করা যাবে।”
|
চিতাবাঘ সরাতে উদ্যোগ শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
কোচবিহারের চিতাবাঘের দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জু এলাকার চিতাবাঘ উদ্ধার কেন্দ্রের আবাসিক দুটি চিতাবাঘের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বন দফতর সূত্রের খবর, বুনো দুটির মধ্যে মনু নামের একটি পুরুষ চিতাবাঘ রয়েছে। যার বয়স প্রায় আড়াই বছর। অন্যটি মাদি চিতাবাঘ বৃষ্টি। বয়স প্রায় ছয় বছর। পশু চিকিসক সুখদেব সরকার প্রায় একঘন্টার চেষ্টায় কপিকলের খাঁচার আয়তন কমিয়ে কাছে এনে বন কর্মীদের সহযোগিতায় পরপর ওই দুটি চিতাবাঘের সামনের দিকের পা থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। সুখদেববাবু জানান, একেকটি চিতাবাঘের রক্তের নমুনা সংগ্রহে অন্তত পাঁচবারের চেষ্টায় সফল হয়েছি। শীঘ্রই ওই চিতাবাঘের রক্তে শর্করা-সহ অন্য কোনও সংক্রামক জীবাণু রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া হবে। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন জানান, সেন্ট্রাল জু অথরিটির নিয়ম অনুযায়ী চারটি চিতাবাঘকে ওই উদ্ধার কেন্দ্রে রাখা যাবে না। তাই দুটি চিতাবাঘকে দার্জিলিঙে পাঠানোর অনুমোদন মিলেছে। পুজোর পরে দুটিকে স্থানান্তর করা হবে।
|
পোস্ত চাষ রুখতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
অবৈধ ভাবে পোস্ত চাষ রুখতে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন আরও কড়া মনোভাব নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে এক বৈঠকের পরে এমনটাই জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আবগারি দফতর ও পুলিশ পোস্ত চাষ বন্ধ করার জন্য আরও সক্রিয় হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে তল্লাশি চলবে।” পঞ্চায়েতগুলিকেও এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |