যেন ‘শনির দশা’ চলছে নীতীশের দলেও! জেডিইউ শীর্ষ নেতৃত্বের রাজনৈতিক ‘হিসেব’ বানচাল করছেন দলীয় সাংসদ, বিধায়করাই।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে কারাদণ্ড হয়েছে নীতীশ-শিবিরের নেতাদেরও। লালুপ্রসাদের সমর্থনে মন্তব্য করছেন দলের সাংসদ। এনডিএ-র সঙ্গে জেডিইউ-য়ের সম্পর্কছেদের কারণ, সেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে অস্বস্তি বাড়িয়েছেন আরও এক জেডিইউ সাংসদ। এ সব মিলিয়ে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে জেডিইউ।
কঠোর শাস্তির পথে এগোলেও, দলের অন্দরমহল এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। দলবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে গত রাতে দুই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জেডিইউ। দলীয় সূত্রের খবর, মুজফ্ফরপুরের সাংসদ জয়নারায়ণ নিশাদ এবং গোপালগঞ্জের সাংসদ পূর্ণমাসি রামকে ছ’বছরের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দলীয় মুখপাত্র কে সি ত্যাগী বলেছেন, “তাঁদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং দুর্নীতিতে জড়িতদের সমর্থনে মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও বিবৃতি দিয়েছেন তাঁরা।”
সম্প্রতি, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা জানিয়েছিলেন জয়নারায়ণ। ওই সময়ই জেডিইউ জানিয়ে দিয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকদিন আগে, একই অভিযোগে দলীয় বিধায়ক ছেদি পাসোয়ানকে ছ’বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়। গতকাল লালুপ্রসাদের শাস্তিতে সহানুভূতি জানিয়েছিলেন সাংসদ পূর্ণমাসি। জেডিইউ-এর নাম না-করে তিনি এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তেরও আশঙ্কা করেছিলেন।
এরপরই এ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয় জেডিইউ। দলীয় সূত্রে খবর, গত রাতে নীতীশ কুমার এবং শরদ যাদবের সঙ্গে কথা বলেন মুখপাত্র ত্যাগী। দু’জনকেই বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ত্যাগী জানান, “দুই শীর্ষ নেতার নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
|