|
|
|
|
সনিয়ার কেন্দ্রে রেল কারখানা গড়তে মউ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভা নির্বাচনের আগে রায়বরেলীর জন্য ফের দরাজহস্ত হল কেন্দ্র।
চলতি বাজেটে গোটা দেশের ন’টি রাজ্যে নতুন রেল কারখানা গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী পবনকুমার বনশল। যার মধ্যে ছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর কেন্দ্রে রেলের চাকা নির্মাণ কারখানাটিও। রাজস্থানের ভিলওয়ারা ছাড়া অন্য কারখানাগুলির ভাগ্যে শিকে না ছিড়লেও আজ রায়বরেলীর কারখানাটির জন্য ইস্পাত মন্ত্রকের রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগমের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করল রেল মন্ত্রক। আগামী তিন বছরের মধ্যে ওই কারখানার নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বার্ষিক প্রায় এক লক্ষ রেলের চাকা উৎপাদন হবে ওই কারখানা থেকে। রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খার্গে আজ দাবি করেন, “প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ওই কারখানায় চাকরি পাবেন ৫০০ থেকে ৬০০ জন।” |
|
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী বেণীপ্রসাদ, রেলমন্ত্রী
মল্লিকার্জুন খার্গে, ও রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়াহা। |
ইউপিএ-র প্রথম পর্বেও রায়বরেলীতে রেলের একটি কোচ নির্মাণ কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। দীর্ঘ টালাবাহানার পর জমি জট কাটিয়ে সম্প্রতি ওই কারখানায় কোচ উৎপাদন শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে যে কংগ্রেসের বিশেষ লাভ হয়েছে তা নয়। সনিয়া গাঁধীর লোকসভা আসন হওয়া সত্ত্বেও, গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার শুধু একটিতেই জিততে পারে কংগ্রেস। দল যে এলাকায় ধীরে ধীরে জমি হারাতে শুরু করেছে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেস সভানেত্রীর দুর্গে আশানুরূপ ফল না হলে দলের যে মুখ পুড়বে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন দলীয় নেতৃত্ব। তাই এখন সর্বশক্তি নিয়ে ওই এলাকায় ঝাঁপাতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই মায়ের কেন্দ্রে ভোটারদের আস্থা বাড়াতে নিয়মিত রায়বরেলী সফর শুরু করছেন প্রিয়ঙ্কা। তার পরে উন্নয়নের বার্তা দিতেই এই কারখানা সংক্রান্ত মউটি আজ সেরে ফেলা হল।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, ৯টি কারখানার মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে রায়বরেলী ও রাজস্থানের ভিলওয়ারার রেল কারখানাটিকেই। রেলের এক কর্তার কথায়, “রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে ওই রাজ্যের কংগ্রেস নেতা তথা সাময়িক ভাবে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকা সি পি জোশী ওই কারখানাটি নির্মাণে তৎপর হন। তার পরেই আমরা রায়বরেলীর কারখানাটির জন্য তৎপর হই।” মন্ত্রকের দাবি, ইতিমধ্যেই জমি সমীক্ষার কাজ প্রায় শেষ। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ওই কারখানার নির্মাণ কাজও শুরু হয়ে যাবে।
প্রায় ১১০০ কোটি টাকার ওই রেল প্রকল্পে কোচ নির্মাণ কারখানার পাশেই জমি জোগাড় করা হয়েছে বলে দাবি রেল মন্ত্রকের। রেল যেমন জমি দিচ্ছে, তেমনই প্রকল্পের নির্মাণ সংক্রান্ত সমস্ত খরচ ও প্রযুক্তি জোগান দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম। উপযুক্ত প্রযুক্তির খোঁজে ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী দরপত্র ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইস্পাত মন্ত্রক। মূলত বেশি ক্ষমতার মালগাড়ি ও দ্রুতগতি ট্রেনের চাকা তৈরির বিষয়টি মাথায় রেখেই ওই কারখানাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “ফি বছর বিদেশ থেকে প্রায় এক লক্ষ চাকা আমদানি করা হয়। ওই কারখানাটি নির্মাণ হলে ওই আমদানি খরচ বেঁচে যাবে। চাকার জন্য যে উচ্চ মানের ইস্পাত লাগবে তার জন্য বিশাখাপত্তনমে ইস্পাত কারখানাও গড়বে নিগম।” |
|
|
|
|
|