|
|
|
|
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি |
রায়ে অস্বস্তি জেডিইউ অন্দরমহলেও
স্বপন সরকার • পটনা |
লালুপ্রসাদের আরজেডি শুধু নয়, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির রায়ে বিব্রত নীতীশ কুমারের জেডিইউ-ও।
অস্বস্তির প্রথম কারণ, জেহানাবাদের দলীয় সাংসদ জগদীশ শর্মা। চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় লালুর সঙ্গে তাঁকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। এর প্রভাব লোকসভা নির্বাচনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কায় জেডিইউ নেতৃত্ব। দ্রুত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে দল। জগদীশের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে।
এখানেই শেষ নয়। দলকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়ার তালিকায় রয়েছেন জেডিইউ জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও। পাশাপাশি, লালুপ্রসাদের জন্য সহানুভূতি ব্যক্ত করে দলের রোষানলে পড়েছেন জেডিইউ সাংসদ পূর্ণমাসি রাম।
পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমেছে জেডিইউ। দলের মুখপাত্র কে সি ত্যাগী বলেছেন, “আদালতের রায় নিয়ে লোকসভা অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে। তার পরই দলে আলোচনা হবে। সাজা ঘোষণার পর অবশ্যই তাঁর (জগদীশ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।” মিশ্রের বিষয়ে প্রশ্নে দলীয় মুখপাত্র বলেন, “তিনি অনেক দিন ধরে দলের নিষ্ক্রিয় সদস্য। জাতীয় কাউন্সিলের কয়েকটি বৈঠকেও যোগ দিতে পারেননি। তাঁকে নিয়েও আলোচনা হবে।” তিনি জানিয়ে দেন, অপরাধে অভিযুক্ত বা অস্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকেই এ বার লোকসভা ভোটে প্রার্থী করবে না জেডিইউ।
লালুপ্রসাদকে ‘গরিবের মসিহা’ বলে চিহ্নিত করে সহানুভূতি জানিয়েছেন জেডিইউ সাংসদ পূর্ণমাসি। গোপালগঞ্জের সাংসদের আশঙ্কা, লালু রাজনৈতিক চক্রান্তেরই শিকার। তাঁর বক্তব্য, “আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করব না। কিন্তু ওঁর বিরুদ্ধে সরাসরি টাকা নেওয়ার প্রমাণ মেলেনি। জনতা দল ভাঙার পরই লালুকে ফাঁসানোর চক্রান্ত হয়।” এ নিয়ে জেডিইউ মুখপাত্র বলেন, “ওই নেতার পচন ধরেছে। উনি বুঝে গিয়েছেন, তাঁকে আর প্রার্থী করা হবে না। তা-ই এ সব বলতে শুরু করেছেন। দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।”
লালুপ্রসাদ দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেন বিজেপি নেতাদেরও একাংশ। কাল পটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা বলেছিলেন, “জনপ্রিয় নেতা জেলে যাওয়ায় দুঃখিত। আশা করছি, উচ্চ আদালতে উনি জামিন পেয়ে যাবেন।”
বৃহস্পতিবার লালুপ্রসাদ-সহ অন্য অভিযুক্তদের শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত। তিন বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে, আগামী লোকসভা ভোট তো বটেই, ২০১৫-এর বিহার বিধানসভা নির্বাচনও হবে লালু-বিহীন। একই সঙ্গে তিনি সাংসদ পদও হারাবেন।
|
পুরনো খবর: নীতীশকে ছাড় কেন, হলফনামা চাইল হাইকোর্ট |
|
|
|
|
|