|
|
|
|
পক্ষপাতের অভিযোগ রঘুরাম কমিটির সূচক নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
রঘুরাম রাজন কমিটির তৈরি রাজ্যগুলির অনগ্রসরতার নতুন মাপকাঠির বিরোধিতায় একসুর মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং জয়ললিতা।
গত কাল প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, রাজন কমিটির রিপোর্ট আসলে কেন্দ্রের তরফে সম্ভাব্য রাজনৈতিক শরিকদের সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার প্রয়াস। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “এ এক অত্যন্ত অন্যায় বন্দোবস্ত। অঙ্কের জাগলারি দিয়ে বাছাই করা কিছু রাজ্যের বরাদ্দ সামঞ্জস্যহীন ভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। রামকে লুঠ করে সে টাকা দেওয়া হচ্ছে শ্যামকে।” রাজন কমিটির সুপারিশ নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭-৮ তারিখ নাগাদ তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি সম্পর্কে অসন্তোষ জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর।
উন্নয়নের জন্য অর্থসাহায্য বরাদ্দের লক্ষ্যে একটি নতুন সূত্র তৈরি করেছে রাজন কমিটি। তার জন্য মাথাপিছু ব্যয়, দারিদ্রের হারের মতো বিভিন্ন রকম মাপকাঠির ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে একটি বহুমুখী সূচক বা ‘মাল্টি ডাইমেনশনাল ইনডেক্স’। এই সুপারিশ মানা হলে নয়া মাপকাঠির ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দ কমবে। অসন্তুষ্ট তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্র ইচ্ছাকৃত ভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করছে। দলীয় সূত্রে খবর, মমতার নির্দেশে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদদের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা করছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ ব্রায়েন অন্য সাংসদদের (লোকসভার বিদ্রোহী সাংসদ কবীর সুমন এবং দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ বাদে) বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজন কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। কারণ, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সব চেয়ে অনুন্নত দুই রাজ্য হল, নবীন পট্টনায়কের ওড়িশা এবং নীতীশ কুমারের বিহার। স্বভাবতই অনেকের বিশ্লেষণ ছিল, ভোটের আগে এ ভাবেই এনডিএ-র দুই প্রাক্তন শরিক নেতাকে দলে টানতে চাইছে কেন্দ্র। জয়ললিতা সেই দিকেই ইঙ্গিত করে চাঁচাছোলা অভিযোগ তুললেন। প্রতিবাদে মিললেন মমতার সঙ্গে।
|
পুরনো খবর: রঘুরামের নতুন সূচকে মমতা ক্ষুব্ধ, কপাল খুলবে নীতীশের |
|
|
|
|
|