|
|
|
|
তেলঙ্গানায় সায়, চিরঞ্জীবীর ইস্তফা
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনে আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। আর তার পরেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী চিরঞ্জীবী। অন্ধ্রের আরও দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী এম এম পল্লম রাজু এবং বস্ত্রমন্ত্রী কে এস রাও-ও ইস্তফা দিতে চেয়েছেন বলে খবর। রাজু অবশ্য দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করেছেন। তবে চিরঞ্জীবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফ্যাক্স করেই তাঁর ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন।
বৈঠকের আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তেলঙ্গানা-বিরোধীরা। আজ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরে হায়দরাবাদ-সহ অন্ধ্রের সব জেলাতেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার সায়ের পর রায়লসীমা ও উপকূলবর্তী অন্ধ্র নিয়ে হবে সীমান্ধ্র। বাকিটা তেলেঙ্গনা। আগামী ১০ বছর দুই রাজ্যের রাজধানীই হবে হায়দরাবাদ। রাজ্য বিভাজনের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনার জন্য একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী করা হয়েছে। দুই রাজ্যের মধ্যে জলসম্পদ, বিদ্যুৎ ও রাজস্ব কী ভাবে বণ্টন করা হবে তা স্থির করবে মন্ত্রিগোষ্ঠীই। রায়লসীমা ও উপকূল অন্ধ্র নিয়ে গঠিত রাজ্যের নয়া রাজধানী তৈরি ও দুই রাজ্যের পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য দিতে চায় কেন্দ্র। সেই সাহায্যের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা।
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত এ বার যাবে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি তা অনুমোদনের জন্য অন্ধ্র বিধানসভায় পাঠাবেন। তবে অন্ধ্র বিধানসভার মত মানতে কেন্দ্র বাধ্য নয়। বিধানসভায় ওই সিদ্ধান্ত পাশ হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন রায়লসীমা ও উপকূল অন্ধ্র থেকে নির্বাচিত কয়েক জন মন্ত্রী।
তেলঙ্গানা গঠনের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের পরে কেন্দ্রকে ফের কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “পাঁচ বছর আগে সাধারণ নির্বাচনের সময়ে তেলঙ্গানা গঠনের কথা ভাবা হয়েছিল। এখন আর একটি সাধারণ নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তেলঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এটা ভোটের দিকে তাকিয়ে নেওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।” তেলঙ্গানা গঠনের পরেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে আন্দোলন শুরু হয়। সেই কারণেও মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|