|
|
|
|
শত্রু পাক সেনা না জঙ্গি, ধন্দ
সাবির ইবন ইউসুফ • শ্রীনগর |
দশ দিন হয়ে গেল শালবাতো জামাগুন্দ এলাকায় গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা। কুপওয়ারা জেলার ওই এলাকায় লুকিয়ে থেকে যারা ভারতীয় সেনার সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে, তারা জঙ্গি না পাকিস্তানি সেনা, তা নিয়ে এখনও ধন্দে ভারতীয় সেনা।
বৃহস্পতিবার এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় সেনাকর্তা বলেন, “কোনও মৃতদেহ বা নথিপত্র উদ্ধার হলেই পরিষ্কার হবে ওরা জঙ্গি না পাক সেনা।” গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেরান সেক্টরের ওই এলাকা দিয়ে প্রায় ৩০ জনের একটি দল ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। বাধা দেয় ভারতীয় সেনা। শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই।
এই অনুপ্রবেশের ঘটনায় কি পাক সেনা জড়িত? বুধবার কোর কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিংহ জানিয়েছিলেন, নিশ্চিত ভাবে কোনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এই অনুপ্রবেশকারীদের পিছনে পাক সেনা থাকলেও থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পাক সেনার এক মুখপাত্র বলেন, “ওই অনুপ্রবেশের ঘটনার সঙ্গে পাক সেনা মোটেই জড়িত নয়। এই অভিযোগ একেবারে ডাহা মিথ্যে।” এই চাপান-উতোরের মধ্যেই এ দিন সকালে দু’পক্ষের মধ্যে একপ্রস্থ গুলির লড়াই হয়েছে। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের পাঁচ জন জখম হয়েছেন। নিহত হয়েছে ১২ জন অনুপ্রবেশকারী। তবে এখনও পর্যন্ত কারও মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গুরমিত সিংহ জানান, শালবাতো জামাগুন্দ এলাকায় লুকিয়ে থাকা ওই দলটির সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে ২৬৮ এবং ৬৮ মাউন্টেন ব্রিগেডের সেনারা। মোকাবিলা চালানো হচ্ছে আকাশপথেও। ড্রোনের সাহায্যে ঘটনাস্থলের ছবিও তোলা হচ্ছে।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও দলটিকে কাবু করতে এত সময় লাগছে কেন? সেনাকর্তারা জানাচ্ছেন, জঙ্গিরা সাধারণত পাঁচ থেকে আট জনের দলে ভাগ হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। কিন্তু এই দলটিতে রয়েছে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ জন। এবং তারা বেশ ভাল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, “এলাকাটি দুর্গম হওয়ার কারণেও অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”
|
পুরনো খবর : কাশ্মীরের গ্রামে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটেছে, মানল সেনা |
|
|
|
|
|