|
|
|
|
গ্যাংটকে দুপুরের ভূকম্পে নড়ে উঠল আতঙ্কের স্মৃতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও জলপাইগুড়ি |
সেটা ছিল সন্ধ্যা। আর এটা ভরদুপুর। বেলা পৌনে ১২টার জমজমাট গ্যাংটক হঠাৎই দুলে উঠল! নিমেষে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন মানুষজন। বস্তুত, এ ভাবেই যেন ফিরে এল দু’বছর আগের স্মৃতি।
বৃহস্পতিবার ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিম। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, গ্যাংটক-সহ পূর্ব সিকিমের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরলেও ২০১১ সালের মতো ভয়াবহ কিছু ঘটেনি। আবহাওয়া দফতর জানায়, এ দিন বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে সিকিম-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় ভূকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫। বিজ্ঞানের ভাষায় এই মাপের তীব্রতাকে মাঝারি ভূকম্প বলেই চিহ্নিত করা হয়। ভূকম্পের উৎসস্থল পূর্ব সিকিমের গ্যাংটকের কাছে বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর।
সিকিমের আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “উৎসস্থল থেকে ১০ কিলোমিটারের গভীরতাতেই মূল কম্পন হয়েছে।” ভূতত্ত্ববিদদের মতে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি হিমালয়ের ভূকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে অবস্থিত। ফলে এমন ঘটনা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।
এ দিন তেমন ক্ষয়ক্ষতি না-হলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল ভয়াবহ স্মৃতি। ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রিখটার স্কেলে ৬.৯ মাত্রার ভূকম্পে কেঁপে উঠেছিল সিকিম। মারা গিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল উত্তর সিকিম-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এ দিন সেই অভিজ্ঞতা থেকেই উত্তর সিকিম যাওয়ার দু’টি রাস্তা ঘণ্টাখানেকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় পূর্ব সিকিমের কয়েকটি স্কুলে। গ্যাংটক এলাকায় বিকেল পর্যন্ত ভয়ে বাড়িতে ঢোকেননি অনেকেই। রাস্তাগুলিতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজটও হয়েছে।
শুধু সিকিম নয়, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিঙেও। তপশ্রী গুপ্ত নামে দার্জিলিঙের এক গৃহবধূ বলেন, “ঘরের কাজ করছিলাম। হঠাৎ চার দিক কেঁপে উঠল। দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে যাই।” দার্জিলিঙের আবাসিক স্কুলগুলিতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একটি স্কুলের শিক্ষক জানান, কেঁপে ওঠামাত্র পড়ুয়াদের খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাত পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
|
|
|
|
|
|