অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে এক প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর-সহ লক্ষাধিক টাকা ও অলঙ্কার লুঠের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচলের ভাকরি পঞ্চায়েতের রামপুরে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। নয় বছর আগের পুরানো একটি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মীর ছেলেকে ধরতে যে পুলিশ কর্মীরা গিয়েছিলেন, তাঁরা ঘটনার সময় মদ্যপ ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর, লুঠপাটের পাশাপাশি মহিলাদের গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, “আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। পেলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ওই সেনা কর্মীর নাম শেখ সরাফত হোসেন। তিনি একটি ইটভাঁটারও মালিক। তাঁর বড় ছেলে মমতাজ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। |
মমতাজকে ধরতে রাতে ১৫ জন পুলিশ কর্মীর দলটি একটি গাড়িতে রামপুরে যায়। প্রাক্তন সেনা কর্মীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, দু’জন বাদে বাকি পুলিশ কর্মীরা ছিলেন সাদা পোশাকে। অভিযোগ, দলটি প্রথমে একটি জানালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। প্রথমে ডাকাত পড়েছে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোক। ডাকাতের ভয়ে প্রত্যেকেই একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ছাদ দিয়ে বাড়িতে ঢুকেই পুলিশ কর্মীরা তাণ্ডব চালাতে থাকেন বলে অভিযোগ। আলমারি থেকে তাঁরা সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি সোনার গয়না নিয়ে নেন বলে অভিযোগ। শেখ সরাফত হোসেন বলেন, “অনেকেই মদ্যপ ছিলেন। ইটভাঁটার শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার কথা ছিল। তাই বাড়িতে টাকা রাখা ছিল। গয়না-সহ ওই টাকাও দলটি নিয়ে গিয়েছে। এক অফিসারকে চিনতে পেরেছি। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে।” অভিযুক্ত অফিসার অলক ভৌমিক ভাঙচুর, লুঠপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “পুরানো মামলার সমনের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ধরতে যাই। কেউ মদ্যপও ছিলাম না। ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।” |