বাণিজ্য সংস্থা আয়োজিত আলোচনাসভায় উপস্থিত হয়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও বেশি বেসরকারি লগ্নি চাইলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জানালেন, বিশেষ করে মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অংশীদার হিসেবে বেসরকারি সংস্থাকে চাইছে সরকার।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দু’দিনের আলোচনাসভা শুরু হয়েছে শুক্রবার। এর অন্যতম স্পনসর স্বাস্থ্য দফতর। তাদের তরফে একাধিক স্টলও করা হয়েছে। ওই সভায় মন্ত্রী জানান, বেসরকারি সংস্থা যাতে মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অংশীদার হতে পারে, সেই জন্য নতুন নিয়মকানুন তৈরি করা হয়েছে। সেই নয়া বিধি স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আবেদন করতে বলা হয়েছে আগ্রহী সংস্থাগুলিকে। অনেক সংস্থা ইতিমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে। চন্দ্রিমাদেবী এ দিন বলেন, “সরকারের প্রচুর টাকা আর্থিক দেনা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য বাজেটে কোনও কার্পণ্য করা হয়নি। বরং তাতে টাকা বেড়েছে। কিন্তু সাড়ে ন’কোটি মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার একা নিতে পারে না। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে হাত বাড়াতেই হবে।” স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বেসরকারি অংশীদারিতে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান এবং ডায়গনস্টিক ক্লিনিকের সাফল্যের কথা তুলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যতটুকু ফাঁক রয়েছে, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে পাশে পেলে তা পূর্ণ হতে পারে। আগ্রহ দেখালে বেসরকারি সংস্থার কাজ করতে যে কোনও সমস্যা হবে না, তা বোঝাতে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের এমন পরিবেশ তৈরি করেছেন, যাতে প্রত্যেকে সেরাটা দিতে পারে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে মায়ানমারের মেডিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল থান জাও মাইনথ এবং নাগাল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিংকং এল ইমচেন উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবসিদ্ধান্ত কল এবং আইসিসি-র হেলথকেয়ার কোর গ্রুপের চেয়ারম্যান রূপক বরুয়া। মায়ানমারের থান জাও মাইনথ জানান, ভারতের সঙ্গে তাঁরা হৃদ্রোগ সংক্রান্ত গবেষণা এবং ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে আগ্রহী। |