রাজপুর-সোনারপুর
বছরভর জলকষ্টে জেরবার বাসিন্দারা
বারো মাসই পানীয় জলের সমস্যা লেগে থাকে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভাকে বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি। আপাতত তাই পানীয় জলের জন্য এই এলাকা নির্ভরশীল লস্করপুর পেয়ারাবাগানের জলাধার আর কিছু নলকূপের উপর।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় যে সব নলকূপ রয়েছে তার বেশির ভাগের জল ব্যবহার করা যায় না। দীর্ঘ দিন এই এলাকায় জলের পাইপলাইন সংস্কার হয়নি। নলকূপগুলি বসানোর পরে বছর ঘুরতে না ঘুরতে খারাপ হয়ে যায়। ঘোলা জল বেরনোয় সেই জল আর ব্যবহার করা যায় না। যে ভাবে এলাকায় পানীয় জলের চাহিদা বাড়ছে তাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত পুরসভার জল বিভাগ।
পানীয় জলের জন্য এই এলাকা নির্ভরশীল লস্করপুর
পেয়ারাবাগান জলাধারের উপর।—নিজস্ব চিত্র।
পুরসভাসূত্রে জানা গিয়েছে, জনসংখ্যার চাপ যে হারে বাড়ছে তার ফলে আগামী ২৫ বছরে এই পুর এলাকায় গড়ে প্রতি দিন ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জলের প্রয়োজন হবে। অথচ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এলাকার বাসিন্দা অম্বর রায়ের কথায়: “অনেক সময় পরিস্থিতি এমন হয় যে পয়সা দিয়ে পানীয় জল কিনে খেতে হয়। সারা বছর এই সমস্যা লেগে থাকে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় গ্রীষ্ম আর বর্ষায়। অনেক বার অনেক প্রতিশ্রুতি শুনেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।”
তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড সমস্যা সমাধানে কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ পুরসভায় বিরোধী দল বামফ্রন্টের। বামপন্থী কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশনও দিয়েছেন। এ কথা জানিয়ে পুরসভায় বিরোধী দলনেতা কমল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বর্তমান পুরবোর্ডের প্রচেষ্টায় ঘাটতি থাকাতেই এলাকায় পানীয় জলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।”
২০০৯-এ পুর নির্বাচনের আগে লস্করপুর পেয়ারাবাগানের জলাধার থেকে পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে নোদাখালির জল সরবরাহ শুরু করে বামপন্থী পুরবোর্ড। কিন্তু পুর নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই এই জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ক্ষমতাসীন তৃণমূল বোর্ডের যুক্তি, পুর নির্বাচনের আগে বাসিন্দাদের চমক দিতে অজস্র ত্রুটিপূর্ণ এই জলাধার তৈরি করা হয়েছিল। পুর এলাকার পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার আমূল সংস্কারে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাই সময় লাগছে।
বর্তমান বোর্ডের চেয়ারম্যান তৃণমূলের ইন্দুভূষণ ভট্টাচার্য বলেন, “আজ যারা বিরোধী তারা দীর্ঘ দিন পুরসভার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সময় কোনও কাজই হয়নি। আমাদের সব কিছু নতুন করে করতে হচ্ছে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.