থামানো যাচ্ছে না যুবরাজ সিংহকে। শুক্রবার চ্যালেঞ্জার ট্রফির ম্যাচে নেমে খেললেন এক ঝোড়ো ইনিংস। ৫৩ বলে ৮৪। আগের দিনই যে পিঠের ব্যথার জন্য মাঠে নামতে পারেননি, এ দিনের ব্যাটিং দেখে তা বোঝার উপায় নেই। একটি টি টোয়েন্টি ও চারটি ওয়ানডে মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচে ৩৬০ রান করলেন যুবরাজ।
আগের রাতে যে ভাবে নিজের শহর রাঁচিতে ঝড় তুলেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, তেমন না হলেও এ দিন ইন্দৌরের হোলকার স্টেডিয়ামের দর্শকদের ভরপুর আনন্দ দেয় যুবরাজের ব্যাটিং। বৃহস্পতিবার এই মঞ্চই মাতিয়ে গিয়েছেন তাঁর ভারতীয় দলের সতীর্থ বীরেন্দ্র সহবাগ। এ দিন সহবাগের মতোই চার নম্বরে নেমে মাঠ মাতিয়ে দিলেন যুবরাজ সিংহও। আধ ডজন চার ও পাঁচটি দর্শনীয় ছয় দিয়ে গড়া যুবির এই ইনিংস দেখে খুশি নির্বাচকরাও। হবেন নাই বা কেন? গত পাঁচটি ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ সেঞ্চুরি তাঁর। |
ইউসুফ পাঠানের ইন্ডিয়া রেড-এর বিরুদ্ধে নেমে তাঁর দল ইন্ডিয়া ব্লু-র ওপেনার পি অক্ষত রেড্ডিও এ দিন ৮৪ রান করেন ঠিকই, কিন্তু যুবরাজের মতো বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন না। নমন ওঝা ও মণীশ পাণ্ডে আউট হয়ে যাওয়ার পর রীতিমতো ঝড় তুলে দেন। সঙ্গে ছিলেন আর এক মারকুটে ব্যাটসম্যান মুম্বইয়ের অভিষেক নায়ারও। তাঁরা উমেশ যাদব, অভিমন্যু মিঠুন, ইউসুফ পাঠান, শেহবাজ নাদিমদের প্রায় প্রতি ওভারেই চার-ছয় মেরে ১৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অভিষেক ৭৫ রানে নট আউট থেকে গেলেও যুবরাজ রান আউট হয়ে ফিরে যান। ব্লু দল তোলে ৩৪৫-৪। পালটা ব্যাট করতে নেমে অভিনব মুকুন্দ (৮৩), স্মিত পটেল (৬৮), কেদার যাদবরা (৪৯) তুমুল লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত বিনয় কুমার (৪-৭৬), বাংলার ইরেশ সাক্সেনা (২-৪৫), পীযূষ চাওলাদের (২-৫৫) দাপটে ৩৩৪-এর বেশে আর এগোতে পারেননি। ১১ রানে জিতে যুবরাজরা উঠে গেলেন ফাইনালে। |