শাপমোচন না কি দু’গোল? শনিবার মাপুসায় মোহনবাগান-চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচের আগে এটাই প্রশ্ন কোঙ্কন উপকূলের সৈকত শহরে।
দু’বছরের কাছকাছি সময় চার্চিল ব্রাদার্স অপরাজেয় মোহনবাগানের কাছে। আই লিগে চার্চিলের বিরুদ্ধে কাতসুমিদের শেষ জয় সেই দু’বছর আগে। ২০১১ তে। শনিবার কি সেই চাকা ঘুরবে?
সালগাওকরের বিরুদ্ধে আই লিগে প্রথম ম্যাচে হারলেও গত বারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে নতুন রেকর্ডের হাতছানি। দু’গোল করলেই গোয়ার দলটি আই লিগের প্রথম দল হিসাবে ছ’শো গোল করার নজির স্পর্শ করবে। চার্চিল সমর্থকদের তাই আবদার, “বাগানের বিরুদ্ধেই দু’গোল চাই। স্যাটারডে নাইটের পার্টি তা হলে জমবে ভাল।”
শুনে হাসছেন সন্দীপ নন্দী। গত মরসুমে চার্চিলের গোলে দাঁড়িয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এ বার মোহনবাগানে। গোয়ায় ফোনে ধরা হলে বর্ধমানের ছেলে বললেন, “ওদের মতো আমরাও প্রথম ম্যাচে জয় পাইনি। তবে ওরা পুরো শক্তি নিয়ে খেলবে। আমাদের যে ভাবেই হোক জিততে হবে। গোল খাওয়া চলবে না।”
সালগাওকরের বিরুদ্ধে লেনি-বিনীশরা মাঠে নেমেছিল এক বিদেশি নিয়েই। শনিবার সেই নাইজিরীয় ডিফেন্ডার হামিদ আদেসোপ তো খেলবেনই। সঙ্গে দলে ঢুকছেন আরও দুই বিদেশি। ফরোয়ার্ডে গত মরসুমে তুরীয় ছন্দে থাকা গ্যাবনের হেনরি। মাঝমাঠে ছন্দে থাকা পর্তুগালের মিডিও হুগো মাচাদো। মোহনবাগান কোচ করিম তাই রীতিমতো সমীহ করছেন গোয়ার দলটিকে। বলছেন, “ওরা গত বারের চ্যাম্পিয়ন। তা ছাড়া শনিবার পুরো দল খেলাবে। সালগাওকরের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরেছে বলে আনন্দের কিছু নেই। এ বার অন্য খেলা।”
যা মেনে নিয়ে চার্চিল টিডি সুখবিন্দর সিংহও বলছেন, “দলে বদল হচ্ছে। প্রথম ম্যাচের চেয়ে শক্তিশালী একাদশই নামবে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে।”
গত বার আই লিগে তাঁর কোচিংয়েই দু’বারের সাক্ষাতে প্রথম বার হারলেও দ্বিতীয় পর্বে সাবিথের গোলে ম্যাচ ড্র রেখেছিল গঙ্গাপারের দল। চার্চিল ম্যাচের আগে বাগানের মালয়ালি স্ট্রাইকারও বেশ চনমনে। আগের ম্যাচেই বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে পড়ন্ত সময়ে গোল করে মূল্যবান এক পয়েন্ট আনার কারিগর বললেন, “গোল করেও আগের ম্যাচে আনন্দ করতে পারিনি। চার্চিলের বিরুদ্ধে গোল করে তিন পয়েন্ট আনতে চাই।”
বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে মারগাওতে। এ দিন সকালে ঘণ্টা দেড়েক অনুশীলনও করেছেন কাতসুমিরা। যেখানে রক্ষণ সংগঠন থেকে আক্রমণে ফিনিশিংয়ের অভাব, সেট পিস--সব বিভাগেই জোর দেওয়া হয়েছে।
শেষ তিন ম্যাচেই গোল খেতে হয়েছে রক্ষণের ভুলে। ইচে-আইবরের বোঝাপড়ায় যেমন ঘাটতি। তেমনই দুই সাইড ব্যাক ওয়াহিদ এবং রবিন্দর রক্ষণের চেয়ে আক্রমণে বেশি সড়গড়। আর তাঁরা ওভারল্যাপে গেলে মাঝমাঠ থেকে কেউ এসে সেই জায়গা কভার করছে না। চার্চিলের বিরুদ্ধে তাই চার ব্যাকের আগে ডিফেন্সিভ স্ক্রিন আদিল খানকে বিপক্ষের আক্রমণ থামানোর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাঝমাঠে ডেনসন-কাতসুমিদের বলা হয়েছে শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপাতে। যার ফলে গতি পাবে এরিক-সাবিথের আক্রমণ। তবে শেষ তিন ম্যাচেই গোল খেয়ে গোল শোধ করেছে মোহনবাগান। গোয়ায় এটাই স্বস্তি করিমের দলে।
|
শনিবার আই লিগ
মোহনবাগান-চার্চিল ব্রাদার্স
(মাপুসা, ৩-৩০) |