|
|
|
|
আসন বণ্টনে হিমশিম ফ্রন্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বারবার বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু, শরিকেরা সহমতে পৌঁছতে পারছে না। পুরসভা নির্বাচনের আসন বণ্টন নিয়ে এমনই পরিস্থিতি বামফ্রন্টে। ফ্রন্ট নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, চলতি সপ্তাহের মধ্যে আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর বক্তব্য, “প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছে। সবকিছু সুষ্ঠু ভাবেই এগোচ্ছে।” নেতৃত্ব মানতে না-চাইলেও দলের অন্দরের খবর, এ বার শরিকদের দাবি মেটাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে সিপিএম। সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপির মতো শরিক দলগুলো গতবারের থেকে বেশি আসন দাবি করার ফলেই এই পরিস্থিতি।
আগে মেদিনীপুরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে এ বার একটি বেড়ে সদর শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা ২৫টি হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সিপিআইয়ের জন্য ৪টি আসন বরাদ্দ হয়। ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য ২টি, আরএসপির জন্য ১টি। ফ্রন্ট সূত্রে খবর, এ বার সিপিআই শুরুতে ৮টি আসন দাবি করে, ফরওয়ার্ড ব্লক ৫টি এবং আরএসপি ২টি। শরিক দলগুলোর দাবি দেখে বিড়ম্বনায় পড়েন সিপিএম নেতৃত্ব।
এ দিকে, প্রাক্তন পুরপ্রধান নাজিম আহমেদের নেতৃত্বাধীন মেদিনীপুর বিকাশ পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাচ্ছে বামফ্রন্ট। বিকাশ পরিষদ আবার ফ্রন্টের কাছে শুরুতে ৫টি আসন দাবি করে। পরিস্থিতি দেখে সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির এক নেতার মন্তব্য, “দাবি মতো শরিকদের আসন ছাড়তে হলে তো আমাদের জন্য হাতে গোনা কয়েকটি আসন পড়ে থাকে!” আসন বণ্টন নিয়ে বুধবার ফ্রন্ট নেতৃত্ব এক বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। শুক্রবার রাতে আবার মেদিনীপুর শহরের সিপিএম নেতারা বৈঠক করেন। পুরসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল ঠিক কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক। পরিস্থিতি যা, তাতে গতবার যে ভাবে আসন বণ্টন হয়েছিল, এ বারও সে ভাবে আসন বণ্টন হতে পারে। আসন সংখ্যার হেরফের হবে না। অর্থাৎ, সিপিআইয়ের জন্য ৪টি, ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য ২টি এবং আরএসপির জন্য ১টি আসন বরাদ্দ হবে। অবশ্য, সংখ্যা এক থাকলেও কিছু ওয়ার্ডের হেরফের হতে পারে। যেমন, গতবার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে (নতুন ৬ নম্বর) সিপিএমের প্রার্থী ছিল। এ বার ওই ওয়ার্ডটি সিপিআইকে ছাড়া হতে পারে। বিকাশ পরিষদকে ২-৩ টি আসন ছাড়া হবে। |
|
|
|
|
|