|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেপূরণে উদ্যোগী প্রশাসন |
খাসজঙ্গলে পলিটেকনিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একটিমাত্র পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে। সেটিও ঝাড়গ্রামে। এ বার তাই মেদিনীপুরেও একটি পলিটেকনিক কলেজ তৈরিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি জঙ্গলমহল সফরে বেরিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল সেই সফরের শেষ দিন। বৈঠক শেষেই পলিটেকনিক কলেজ তৈরির কথা জানান তিনি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠক শেষে মেদিনীপুর বিধায়ক ও জেলাশাসককে বলেন, মেদিনীপুরে একটি পলিটেকনিক কলেজ তৈরির উদ্যোগ নিতে। বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পলিটেকনিক কলেজ তৈরির জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমরা দ্রুত জমি দেখে তা সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দেব। যাতে শীঘ্রই কলেজ তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া যায়।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২টি আইটিআই রয়েছে। একটি মেদিনীপুরে ও ১টি ঝাড়গ্রামে। আরও কয়েকটি আইটিআই তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে জেলায়। লালগড়, শালবনি-সহ বিভিন্ন জায়গায় আইটিআই তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। কিন্তু পলিটেকনিক কলেজ তৈরি নিয়ে সে রকম কোনও উদ্যোগ আগে লক্ষ্য করা যায়নি। যদিও বর্তমান রাজ্য সরকার প্রতিটি মহকুমাতেই একটি করে পলিটেকনিক কলেজ তৈরির কথা আগেই ঘোষণা করেছিল।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চারটি মহকুমা রয়েছে। কিন্তু পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে মাত্র একটি। তাও ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রামকে আবার আলাদা জেলা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যদি ঝাড়গ্রাম প্রশাসনিক জেলা হিসাবে ভাগ হয়ে যায়, তখন মেদিনীপুরে কোনও পলিটেকনিক কলেজই থাকবে না। এ বার জঙ্গলমহল সফরে এসে তাই মেদিনীপুরে পলিটেকনিক কলেজ তৈরির জন্য পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু কোথায় হবে কলেজটি? কলেজ তৈরি করতে হলে জমির প্রয়োজন রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের খাসজঙ্গলে বেশ কিছু পরিমাণ সরকারি জমি রয়েছে। যেখানে অনেক আগেই শিল্পতালুক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিছু শিল্পও অবশ্য গড়ে উঠেছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু শিল্প তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে প্রশাসনের। তার কাছেই আরও কিছুটা জমি রয়েছে বলে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জানিয়েছে। মৃগেনবাবু বলেন, “দু’চারদিনের মধ্যেই জেলাশাসক ও জেলা ভূমি সংস্কার আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে জমি দেখতে যাব। খাসজঙ্গলে প্রয়োজনীয় জমি মিলে গেলে ওখানেই কলেজ তৈরির জন্য পদক্ষেপ করা হবে। যদি ওখানে জমি না মেলে তখন অন্যত্র জমির খোঁজ করা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী নিজে পলিটেকনিক কলেজ তৈরির কথা জানিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনও অবশ্য তৎপর। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খাসজঙ্গলে এখনও যে পরিমাণ খালি জমি পড়ে রয়েছে তাতে সহজেই পলিটেকনিক কলেজ তৈরি করা যাবে। খাসজঙ্গলে কলেজটি তৈরি হলে ছাত্রছাত্রী থেকে প্রশিক্ষক -সকলেই খুবই উপকৃত হবেন। কারণ, ওই এলাকাটি শহরের উপকণ্ঠেই রয়েছে। শহর থেকে বাসে বা অটো রিকশাতে সহজেই ওই এলাকায় পৌঁছানো যায়। তাই প্রশাসনও চাইছে, সকলের স্বার্থে ওখানেই কলেজটি তৈরি হোক। |
|
|
|
|
|