রাস্তা এমনই যে বাস বন্ধ করার কথা ভাবছেন মালিকেরা। যাতায়াতের যন্ত্রণায় বাসিন্দাদের ক্ষোভ চরমে। এটাই হাওড়া পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদমারি রোডের ছবি।
শিবপুরের বটানিক্যাল গার্ডেন পার হয়ে হাঁসখালি পোলে ওঠার ঠিক আগেই ডান দিকে গিয়েছে প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি এই চাঁদমারি রোড। খন্দে ভরা রাস্তায় পিচের চিহ্ন নেই। জমে রয়েছে জল। পাশের ভ্যাট উপচে আবর্জনাও এসে পড়েছে। হেঁটে বা সাইকেলে যাওয়া যায় না। রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি বস্তা ফেলে উঁচু করা রয়েছে। পায়ে হেঁটে যেতে হলে এগুলিই ভরসা। বেশ কয়েক বার বাসের চাকা ফেটেছে। এর উপর খাঁড়ার ঘা অন্ধকার। অনেকটা অংশে দোকানের আলোই ভরসা। |
এ ভাবেই যাতায়াত চাঁদমারি রোডে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার। |
আরও কিছুটা এগিয়ে অজন্তা মোড়ের কাছে দু’পাশে ভেঙে গিয়ে ২০ ফুটের রাস্তা চওড়ায় কমে হয়েছে ১৫ ফুট। সেখান দিয়ে রোজ যাতায়াত ‘কে ৭’ রুটের প্রায় কুড়িটি বাসের। বাকসাড়া, শান্তিনগর, জগাছা, বকুলতলা-সহ বিভিন্ন জায়গার হাজার হাজার মানুষের বাইপাস যাওয়ার অন্যতম ভরসা এই বাসরুট। এ ছাড়া দু’পাশের কারখানার মাল পরিবহণের বড় বড় গাড়িও চলে এই রাস্তায়।
এই রুটের বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক সুব্রত দে বলেন, “প্রায়ই বাসের চাকা ফেটে যায়। বাস বন্ধ করার কথা ভাবছি।” স্থানীয় কাউন্সিলর সুব্রত সাহা বলেন, “রাস্তাটির অবস্থা খারাপ। সারানোর চেষ্টা করছি।”
মেয়র মমতা জয়সবাল বলেন, “রাস্তাটি সারাতে ৫০ লক্ষ টাকা দরকার। কিন্তু ২৫ লক্ষ টাকার বেশি কাজের জন্য রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন। রাজ্যের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।” যদিও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাস্তা সারানোর দায়িত্ব পুরসভার। এ জন্য পুরসভাকে অর্থও দেওয়া হয়েছে।” |