জীর্ণ ছাউনিতেই চলছে বেপরোয়া ব্যবসা, বাস |
দীক্ষা ভুঁইয়া |
ঢালাই করা বাসছাউনি। ছাদে এমন ফাটল ধরেছে যে, যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই যাত্রীরা আর তার নীচে অপেক্ষা করেন না। কিন্তু এই ছাউনির নীচেই হকারেরা খাবারের গাড়ি নিয়ে বসছেন। অনেক ক্রেতাও আসছেন। দৃশ্যটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের উপরে নিজাম প্যালেসের সামনের বাসছাউনির।
প্রায় একই অবস্থা দেশপ্রাণ শাসমল রোডের উপরে গল্ফ ক্লাব সংলগ্ন বাসছাউনিরও। বহু পুরনো এই ছাউনিটি আবার ফুটপাথবাসীদের দখল চলে গিয়েছে। এখানেও ঢালাই করা ছাদে ফাটল ধরেছে। তার তলায় চলছে ফুটপাথবাসীদের সংসার। |
|
দখলদারি। গল্ফ ক্লাব রোডে। |
দেশপ্রাণ শাসমল রোডের উপর বাঙুর হাসপাতালের উল্টো দিকে, টালিগঞ্জ ফাঁড়িতে, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের উপরে ঢাকা কালীবাড়ি এলাকা থেকে সিআইটি রোডের
উপর পদ্মপুকুর এলাকা শহর জুড়ে এ রকম বহু বাসছাউনি রয়েছে। কোথাও এগুলির তলায় ব্যবসা চলছে, কোথাও আবার বাস করছেন ফুটপাথবাসীরা।
শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য পুরনো বাসছাউনির বদলে নতুন নতুন বাসছাউনি তৈরি হচ্ছে। |
|
রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডে। |
প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কেন পুরনো বাসছাউনিগুলি ভাঙা হচ্ছে না? যদিও পুরসভা সূত্রের খবর, পুরনো বাসছাউনিগুলি ভাঙার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সিআইটি রোডের উপরে লিন্টন স্ট্রিট ডাকঘরের কাছেই এ রকম সিমেন্টের তৈরি পুরনো বাস ছাউনিটি ভেঙে নতুন বাসছাউনি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলিও ভেঙে দেওয়া হবে। কিন্তু কয়েকটি জায়গায় পুরনো বাসছাউনি না ভেঙে পাশে নতুন ছাউনি তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কী হবে?
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বিজ্ঞাপন) দেবাশিস কুমার বলেন, “আস্তে আস্তে সব পুরনো বাসছাউনি ভেঙে নতুন করে তৈরি হবে। তবে একটু সময় লাগবে।”
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|