|
|
|
|
এলাকা ভাগ করে বিসর্জনে বিকেন্দ্রীকরণ চান মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নির্দিষ্ট দু’টি দিনের মধ্যে শহরের সব দুর্গাপুজোর বিসর্জন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তার জন্য পুলিশকে ‘বিকেন্দ্রীকরণ’ ব্যবস্থা তৈরি করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার ভিত্তিতে বিসর্জনের ঘাট ও সময়সূচি নির্দিষ্ট করা হবে এই ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী চান, এ ব্যাপারে প্রতিটি থানা তার নিজের এলাকার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আগাম কথা বলে বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলুক। পুলিশ ও কলকাতা পুরসভাকে বিসর্জনের ঘাটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও নির্দেশ দেন তিনি।
আসন্ন দুর্গোৎসব ও ঈদের প্রস্তুতি পর্বে শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক সমন্বয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটির প্রতিনিধি এবং ইমামেরা উপস্থিত ছিলেন। এবার বিজয়া দশমী ১৪ অক্টোবর। ঈদ ১৬ অক্টোবর। পুলিশ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৫ ও ১৬ তারিখে পুজোর বিসর্জন করা যাবে না। সেক্ষেত্রে বাকি থাকে আর একটি দিন, ১৭ অক্টোবর। কারণ ১৮ তারিখ লক্ষ্মীপুজো। মমতা এ দিন বলেন, “কেউ লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত দুর্গা ঠাকুর রেখে দিয়ে একসঙ্গে দুই বিসর্জন করতে চাইলে তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সচরাচর এটা তো হয় না। দুর্গা বিসর্জনের পরে লক্ষ্মী ঠাকুর মণ্ডপে আনা হয়। তাই সুষ্ঠু ভাবে বিসর্জনের দিকটা মাথায় রাখতে হবে।” |
|
সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘বিকেন্দ্রীকরণ’ ব্যবস্থায় বিসর্জনের এলাকা ও দিন ভাগ করে নেওয়া হোক। তাঁর প্রস্তাব হল, থানার ওসি-রা নিজেদের এলাকার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বসে ঠিক করে নিন কোন ক্লাব কবে, কখন, কোন ঘাটে বিসর্জন দেবে। বিভাগীয় ডিসি-দের কাছে সেই বিশদ সূচি পাঠাবেন ওসি-রা। তার পরে সব ডিভিশনে ডিসি-দের অধীনে তৈরি হবে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে নজর রাখা হবে, যাতে সূচি মেনে কাজ হয়। এ ছাড়াও লালবাজারে থাকবে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম।
বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটের সংখ্যা কিছু বাড়িয়ে তা যাতে উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য ও পূর্ব কলকাতা এবং কলকাতা পুলিশের সংযোজিত এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সে জন্যও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে নির্দেশ দেন মমতা। একই সঙ্গে তিনি মনে করান, “দইঘাটে যাতে আরও বেশি করে বিসর্জন করানো যায়, তার ব্যবস্থা করতে ওই ঘাট সংস্কার করা হয়ে গিয়েছে।”
বিসর্জনের মিছিল নিয়েও কিছু পরামর্শ আছে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “বিভিন্ন থানা এলাকার পুজোর উদ্যোক্তারা যদি দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সময় ভাগ করে নিয়ে বিসর্জন করেন, তা হলে তাঁদের ঘাটে বেশিক্ষণ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হয় না, আবার বিসর্জনও হয় সুষ্ঠু ভাবে।” পুলিশ এবং ক্লাবগুলিকে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতেও অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, “আর তো কয়েকটি মাত্র দিন বাকি, ক্লাবগুলিকে অনুরোধ করছি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে। পাশাপাশি পুলিশকেও অনুরোধ করছি, ক্লাবগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করুন। কে এক ইঞ্চি কম, কে দুই ইঞ্চি বেশি, এই সব নিয়ে আর ভাববেন না।”
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন, ছোট ক্লাবগুলির কাছ থেকে এক বারে টাকা আদায় না করতে। সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রথম দফায় দেয় টাকার ৭৫ শতাংশ এবং ১৫ দিন পরে বাকি ২৫ শতাংশ টাকা দিতে পারেন ছোট ক্লাবগুলির উদ্যোক্তারা। |
|
|
|
|
|