|
|
|
|
সন্ধ্যা নামলেই শুরু অটোর দাদাগিরি, ভোগান্তি যাত্রীদের
দেবাশিস দাস |
অটো রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে, কিন্তু অটো পেতে গিয়ে যাত্রীদের হয়রানি ঘুচছে না কিছুতেই। টালিগঞ্জ-গড়িয়া রুটে প্রতি দিন গড়ে ৯০০ অটো চলাচল করে। অথচ প্রতি দিন সন্ধ্যার পর থেকে অটোর জন্য হয়রান হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে অর্ধেকের বেশি অটো মালঞ্চ সিনেমা বা রানিকুঠির পরে আর যেতে চায় না। লাইনে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরেও অনেক অটোচালক ইচ্ছেমতো পিছন থেকে ছোট ট্রিপের যাত্রী তুলে চম্পট দেন। যাত্রীদের কাছে খুচরো না থাকলে বেশ কিছু অটোচালক দুর্ব্যবহারও করেন। এই সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে জেরবার যাত্রীরা। তাঁরা জানালেন, এই রুটের বহু অটোচালকই যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে কখনও গুরুত্ব দেন না। তার উপর ছোট ট্রিপে বেশি লাভ করার জন্য তাঁরা যাত্রীদের সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই করেন। নিত্যযাত্রী কমলেশ্বর চক্রবর্তীর কথায়: “গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো থাকলেও বহু বাসিন্দার যাতায়াত এখনও অটোর উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু অফিস থেকে ফেরার পথে টালিগঞ্জ থেকে অটো ধরার কথা ভাবলেই শিউরে উঠি।” |
|
এ ছবি প্রতি দিনের। |
টালিগঞ্জ-গড়িয়া অটো রুট সূত্রে জানা গিয়েছে, টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা। মালঞ্চ এবং রানিকুঠির ভাড়া ৫ টাকা। টালিগঞ্জ থেকে নাকতলা শিবমন্দির পর্যন্ত ভাড়া ৮ টাকা। গড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্তও একই ভাবে ভাড়ার বিন্যাস রয়েছে এই রুটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোচালকের যুক্তি: “চার জন যাত্রী নিয়ে টালিগঞ্জ থেকে এক বার মালঞ্চ বা রানিকুঠি গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে একশো থেকে একশো কুড়ি টাকা পর্যন্ত ভাড়া খাটা যায়। সেখানে এক বার গড়িয়া আপ-ডাউন গেলে মাত্র আশি টাকা ভাড়া হয়। সময় লাগে এক ঘণ্টার কাছাকাছি।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে এই রুটেই পর পর একটি বা দু’টি অটো ছোট ট্রিপে যাওয়ার পরের অটোটি লম্বা ট্রিপে যেত। কিন্তু বেশ কিছু দিন হল এই নিয়ম অধিকাংশ চালকই মানছেন না। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই বিশৃঙ্খলার জন্য এক এক দিন তাঁদের দশ টাকার জায়গায় কুড়ি থেকে পঁচিশ টাকা পর্যন্ত খেসারত দিতে হয়। |
|
টালিগঞ্জ-গড়িয়া রুটের তৃণমূল সমর্থিত অটো ইউনিয়নের সভাপতি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আইএনটিটিইউসি নেতা শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “আগেও দু’জন যাত্রী আমাকে ফোন করে এই সমস্যার কথা বলেছিলেন। সমস্যা সমাধানের জন্য ওই রুটে তিন জনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তাঁদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।”
|
ছবি: অমরেশ চক্রবর্তী। |
|
|
|
|
|