আশঙ্কা সত্যি করে একশো কোটি ডলার ছুঁই ছুঁই লোকসানের কথাই ঘোষণা করল বিক্রির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ব্ল্যাকবেরি।
শুক্রবার সংস্থা জানিয়েছে, জুন-অগস্ট ত্রৈমাসিকে তাদের নিট ক্ষতি ৯৬.৫ কোটি ডলার (৫,৯৮৩ কোটি টাকা)। প্রায় অর্ধেক হয়েছে আয়। প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হয়নি নতুন ফোন ‘জেড ১০’-ও। মূলত যার উপর ভর করে কিছু মাস আগেও ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল কানাডার এই মোবাইল বহুজাতিক। |
সমস্যা গভীর। কানাডার ওয়াটারলু-তে ব্ল্যাকবেরির সদর দফতর। ছবি: রয়টার্স। |
লোকসানের অঙ্ক যে ৯৫ থেকে ৯৯.৫ কোটি ডলারের মধ্যে দাঁড়াবে, গত সপ্তাহেই তা বলেছিল ব্ল্যাকবেরি। খরচ কমাতে বিশ্ব জুড়ে এক তৃতীয়াংশ (৪,৫০০) কর্মী ছাঁটাইয়ের কথাও জানিয়েছিল তারা। তার পরই গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছিল হাতবদলের প্রাথমিক প্রস্তাবে সায় দেওয়ার বিষয়টি।
মোবাইলে ই-মেলের পথিকৃৎ ব্ল্যাকবেরি ওই দিন জানিয়েছিল যে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই অবস্থায় তাদের কিনতে প্রস্তাব দিয়েছে জন্মসূত্রে ভারতীয় প্রেম বৎসের সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্স ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংসের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম। ৪৭০ কোটি ডলারের (২৯,১৪০ কোটি টাকা) ওই প্রস্তাব প্রাথমিক ভাবে মেনেও নিয়েছে তারা। অন্য কোনও সংস্থা আরও বেশি দর না-হাঁকলে এবং সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে, সংস্থার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে ওই কনসোর্টিয়ামের হাতে।
এ দিন ত্রৈমাসিকের খারাপ ফল নিয়ে হতাশা গোপন করেনি ব্ল্যাকবেরি। কিন্তু বিক্রির মুখে দাঁড়িয়ে থাকায় মনে করিয়েছে নিজেদের ভাল দিকটির কথাও। জানিয়েছে, হাতে থাকা নগদ ২৬০ কোটি ডলার ও বাজারে ধার না থাকার দৌলতে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়।
তবে কিছু মাস আগেও দেওয়াল লিখন যে তারা পড়তে পারেনি, তা এ দিন সংস্থার মন্তব্যে স্পষ্ট। তারা স্বীকার করেছে, ‘জেড১০’ নিয়ে তাদের আশা ছিল অনেক। কিন্তু বিক্রি ধারেকাছেও যায়নি। তাই তা অনেক বেশি মজুত করার মাসুল গুনতে হয়েছে সংস্থাকে। বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। যে কারণে আরও বেড়েছে ক্ষতির অঙ্ক। আগামী দিনে বিপণিতে সাধারণের কাছে ফোন বিক্রি থেকে সরে দাঁড়াবে বলেও জানিয়েছে তারা। |