সিরিয়া নিয়ে রুশ-মার্কিন ঐকমত্য |
সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার বিষয়ে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে অবশেষে একমত হল আমেরিকা ও রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি মেনে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনার কথা খসড়া প্রস্তাবে রাখেনি আমেরিকা। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দু’দেশ। সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র সমর্পণ বা ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ও রাশিয়ার চাপে প্রেসিডেন্ট বাসার-অল-আসাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত খারিজ করে আমেরিকা। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করার জন্য তৈরি খসড়া প্রস্তাব নিয়েও রুশ চাপের কাছে আমেরিকা নতি স্বীকার করল বলে মত কূটনীতিকদের। শুক্রবারই এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে নিরাপত্তা পরিষদে। তবে তার আগে রাসায়নিক অস্ত্র-বিরোধী সংস্থার কাছ থেকে সিরিয়ার অস্ত্র ধ্বংসের উপায়ের কথা জানতে চায় সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলি। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে ওই সংস্থার সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহের আগে সিরিয়ার অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা শুরু করতে পারবে না। সিরিয়ায় আসাদ সরকার ও বিরোধীদের লড়াই চলছেই। এ দিনই দামাস্কাসের উত্তরে বিস্ফোরণে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।
পুরনো খবর: স্বস্তি সিরিয়া
|
পাকিস্তানের বাসে বিস্ফোরণ, হত ১৭ |
বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাস। নিহত দুই মহিলা-সহ অন্তত ১৭ সরকারি কর্মী। আহতের সংখ্যা অন্তত ৩৪। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে। পাক পুলিশের দাবি, রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এ দিনের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বাসে ঠাসা ছিল প্রায় ৬ থেকে ৮ কিলোগ্রামের বিস্ফোরক। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও পুলিশের ধারণা, সরকার এবং পাক তালিবানের মধ্যে শান্তি-আলোচনার সম্ভাবনা ভেস্তে দিতেই এই বিস্ফোরণ। সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পেশোয়ারের অসামরিক সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতরের অন্তত ৭০ জন কর্মী ছিলেন বাসটিতে। ভিতরে তো বটেই, বাসের মাথাও ঠাসা ছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে, বড় রাস্তার উপর দিয়ে যেতে যেতে আচমকাই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে টাল খেয়ে যায় বাসটি। উল্টে পড়ে যান মাথায় বসা লোকজনও। প্রশাসনের আশঙ্কা, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যাও। রবিবার পেশোয়ারেরই এক গির্জায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন অন্তত ৭৮ জন। তার পরেই এই বিস্ফোরণ।
|
পুলিশের গুলিতে ৫০ নিহত সুদানে |
জ্বালানির উপর সরকারি ভতুর্কি কমানোর প্রতিবাদে সোমবার থেকেই প্রতিবাদ চলছে সুদানে। এর মধ্যেই দেশের দুই অন্যতম প্রধান মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের মাথা এবং বুক লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে হত্যা করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স ১৯ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এই অত্যাচার বন্ধ করতে দাবিও জানিয়েছে ওই সংগঠন। একই সঙ্গে খারতুম হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছেন ১০০ জন।
|
ফিলিপিন্সে উদ্ধার ছ’জন পণবন্দি |
তিন সপ্তাহ সংঘর্ষের পর বিদ্রোহীদের হাতে আটকে থাকা শেষ ৬ পণবন্দিকে উদ্ধার করল ফিলিপিন্স সেনা। সরকারি সূত্রে খবর, মূল বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি অংশ গত ৯ সেপ্টেম্বর মিন্দান্নো দ্বীপের জামবোয়াঙ্গা শহর দখল করে। পণবন্দি করে শত শত বাসিন্দাকে। তার পর থেকেই চলছে সংঘর্ষ। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৬৬ জন বিদ্রোহী-সহ অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সংঘর্ষে।
|
‘কেউ নয়’ কমই ভোট পেয়েছিল |
কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ না করার বিকল্পটি বাংলাদেশে ২০০৮-এর নির্বাচনে রাখা হয়। তত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণা করার পরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলই এর বিরোধিতায় নামে। যুক্তি, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা এই ‘কেউ নয়’ বিকল্পে ভোট দিলে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হবে। এই ভোটে অধিকাংশ মানুষই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। ১০% ভোটও পায়নি ‘কেউ নয়’। |