বছরে ২৪৫%। আমজনতার অস্বস্তি বাড়িয়ে এই হারেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
বাজারের আগুন একইসঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে রান্নাঘরের যাবতীয় সব্জিতে। ফলে অগস্টের হিসাবে শাক-সব্জির দাম বেড়েছে ৭৭.৮১%। সাধারণ ভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ১৮.৮%। পেঁয়াজ ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর আকাশছোঁয়া দামই অগস্টে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারকে টেনে তুলেছে ৬.১ শতাংশে, যা গত ছ’মাসে সর্বোচ্চ। জুলাইয়ের হার ৫.৭৯%। তবে মহার্ঘ খাদ্যপণ্যের বাজারে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে আলু ও ডাল। এই দুই পণ্যের দাম কমেছে যথাক্রমে ১৫% ও ১৪%। দাম কমেছে ভোজ্যতেল ও চিনিরও। কারখানায় তৈরি পণ্যের দর অবশ্য বেড়েছে সামান্য, ১.৯%। |
মঙ্গলবার এই সরকারি পরিসংখ্যানের আঁচ লাগে শেয়ার বাজারেও। বাজার খোলার পর প্রায় ২৫০ পয়েন্ট বেড়ে ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায় সেনসেক্স। বিদেশি আর্থিক সংস্থার ক্ষেত্রে সরকারি ঋণপত্রে লগ্নির নিয়ম সরল করার যে-সিদ্ধান্ত সেবি শুক্রবার নিয়েছে, তার প্রভাবেই এ দিন উঠতে থাকে সূচকের পারদ। প্রসঙ্গত, বিদেশি সংস্থাগুলি এখন থেকে নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ না-নিয়েই সরাসরি সরকারি ঋণপত্র কিনতে পারবে, যতক্ষণ না মোট লগ্নি ৯০% ছুঁচ্ছে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির খবরে উত্থান ধরে রাখতে পারেনি বাজার। দিনের শেষে সেনসেক্স বেড়েছে মাত্র ১০ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে তা ছিল ১৯,৭৪২.৪৭ অঙ্কে। কারণ, ততক্ষণে, আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজন শুক্রবার তাঁর প্রথম ঋণনীতিতে সম্ভবত সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন।
বিদেশি আর্থিক সংস্থার জন্য সেবি-র নয়া সুবিধা ঘোষণার প্রভাবে অবশ্য এ দিন টাকার বাজার চাঙ্গাই ছিল। টাকা ৬৫ পয়সা বাড়ায় দিনের শেষে প্রতি ডলার দাঁড়ায় ৬২.৮৩ টাকা। বাজারে বিদেশি লগ্নি বাড়ার আশায় অনেক লগ্নিকারী টাকার চাহিদা বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি, বিশ্ব বাজারেও ডলার ছিল পড়তির দিকে। প্রাক্তন মার্কিন অর্থ সচিব ল্যারি সামার্স মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী কর্ণধার হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, এই খবরেই বিশ্ব বাজারে পড়ে যায় ডলার। |