খুদে ক্রিকেটারদের বয়স ভাঁড়ানো আটকাতে প্ল্যান ‘এ’-র পর এ বার প্ল্যান ‘বি’-ও তৈরি করে ফেলল সিএবি।
শহরের যাবতীয় কোচিং সেন্টার আর একটাই সুযোগ পাচ্ছে। আগামী অম্বর রায় টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব ১৪) কিংবা সিএবি জুনিয়র টুর্নামেন্টে (অনূর্ধ্ব-১৭) যদি ক্রিকেটারদের বয়স ভাঁড়ানো পুরোপুরি বন্ধ করা না যায়, তা হলে এই দু’টো টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দিতে পারে সিএবি। সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তারা কেউ কেউ চান, পরের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সেমিনার ডেকে সমস্ত কোচিং সেন্টারকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হোক। নতুন আইনবিধি সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হোক। তার পরেও যদি দেখা যায় বয়স ভাঁড়ানো বন্ধ হয়নি, কোচিং সেন্টাররা সব জেনেশুনে তা চালাচ্ছে, তা হলে টুর্নামেন্ট বন্ধ। বলা হচ্ছে, এই দু’টো আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টের সঙ্গে সিএবি-র প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই। বন্ধ করে দিলে ক্ষতি নেই, বরং লাভ আছে। ময়দানের যে সব ক্লাবের বেশির ভাগ আয় নির্ভর করে কোচিং সেন্টার থেকে উপার্জনের উপর, তাদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে অন্য ভাবে।
সিএবি-র সব টুর্নামেন্টে পুরস্কার অর্থ চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। লিগ, জে সি মুখোপাধ্যায় থেকে নক আউট টুর্নামেন্ট— সব জায়গাতেই ভাবা হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে পুরস্কার অর্থ চালু করে দেওয়ার। এতে ক্লাবগুলো বাড়তি টাকা পাবে। তা ছাড়া সিএবি-র অনুদানও দরকারে বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। বলা হচ্ছে, ক্লাবের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারলে তখন অম্বর রায় বা জুনিয়র ক্রিকেট বন্ধ করা নিয়ে কোনও কথাবার্তা শোনারও ব্যাপার থাকবে না। কোচিং সেন্টারদের দুর্নীতিও বন্ধ করা যাবে। সিএবি-র এক কর্তা বলেও দিলেন, “একটা প্রথম ডিভিশন ক্লাবের টিম করতে কত খরচ হয়? দশ লক্ষ টাকা? আমরা যদি জোগাড় করে দিই সেটা? এখনই বন্ধ করলে বলা হবে সিএবি পারল না। কোচিং সেন্টারগুলো এক বছরে নিজেদের শুধরোতে পারলে ভাল। নইলে জুনিয়র টুর্নামেন্ট বন্ধ।” |