নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জন্মের জাল প্রমাণপত্র দিয়ে বয়স ভাঁড়ানোর জন্য সম্ভবত তিন বছর সাসপেন্ড হতে চলেছে দোষী ক্রিকেটাররা। আগামী বছর থেকে একই অপরাধে এই সাসপেনশনের মেয়াদ বেড়ে হবে অন্তত সাত বছর। এ ছাড়াও এ বার থেকে ক্রিকেটারদের বয়সের প্রমাণপত্র যাচাই করে তা অনুমোদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট কোচিং সেন্টার ও তারা যে অনুমোদিত সংস্থার অধীন, তার শীর্ষকর্তাদের। এমনই নিয়ম আসতে চলেছে। এই কড়া শাস্তি ও নিয়মের মাধ্যমেই রাজ্যের ক্রিকেটে বয়স ভাঁড়ানোর রোগ উৎখাত করতে চায় সিএবি।
কোচিং সেন্টারের প্রধান কোচ ও সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত সংস্থার সচিবকে যাচাই করা সার্টিফিকেটের ‘কপি’-তে সই করে ও সিল দিয়ে তা অনুমোদন করতে হবে। অর্থাৎ এ বার থেকে ‘বার্থ সার্টিফিকেট’-এর ‘অ্যাটেস্টেড কপি’ জমা দিয়ে তবেই মাঠে নামতে হবে খুদে ক্রিকেটারদের। এত দিন এই নিয়ম ছিল না বলেই বয়স ভাঁড়ানোটা নিয়মে দাঁড়িয়েছিল। এ বার থেকে আর তা হবে না বলে মনে করেন সিএবি কর্তারা। |
কিন্তু কোনও ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ উঠলে, অভিযোগকারীকেই তার প্রমাণ জোগাড় করে সিএবি-র কাছে পেশ করতে হবে। সিএবি-র কাজ হবে শুধু অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার, কোচিং সেন্টার ও অনুমোদিত সংস্থাকে শাস্তি দেওয়া। কিন্তু অভিযোগ জমা পড়ার পর কি তদন্ত করবে সিএবি? সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না অন্যতম যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়।
বুধবার ক্লাব হাউসে তাঁর ঘরেই বসেছিল অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের বিচারসভা। ছিলেন ক্রিকেট কমিটির সদস্যরাও। সে সব শেষ করে সন্ধ্যায় সুবীরবাবু বলেন, “আমরা জন্মের প্রমাণপত্র যাচাই করে দেখব না। এ বার থেকে এই দায়িত্ব নিতে হবে কোচিং সেন্টার ও অনুমোদিত সংস্থাগুলোকেই। তার পরও যদি কেউ বয়স ভাঁড়ায়, তা হলে ক্রিকেটারের সঙ্গে কড়া শাস্তি পেতে হবে তাদেরও। ওদেরও ছাড়বে না সিএবি।”
এ দিনও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত ক্রিকেটার সিএবি-তে এসেছিল। তবে ৪৯-এর মধ্যে জনা কুড়ি এখনও অনুপস্থিত। তাদের ফের ডাকবে সিএবি। সময়ও দেওয়া হবে। এর পরও যদি তারা না আসে, তা হলে তাদের আরও কড়া শাস্তি হতে পারে বলে জানান সুবীরবাবু।
|