বুধবার মহমেডান-এরিয়ান ম্যাচ দেখার পর আফসোস করতেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। পেন ওরজিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এই মুহূর্তে মহমেডানের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে নাইজিরীয় মিডিও।
এ দিন একমাত্র পেনের লড়াইয়ের কাছে হেরে গেল রঘু নন্দীর এরিয়ান। পেন শুধু যে দুরন্ত গোল করেছেন এমনটাই নয়, দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সচল রেখেছেন মাঝ-মাঠকে। এরিয়ানের কোচ রঘু নন্দী তো বলেই দিলেন, “পেনের জন্যই আমাদের পয়েন্ট হাতছাড়া হল।”
দলকে জেতানোর পর পেনের মুখে তৃপ্তির হাসি। যুবভারতী ছাড়ার আগে বলে গেলেন, “সবে তো শুরু, এখনও অনেক পথ যেতে হবে। মাঠেই সব কিছুর উত্তর দিতে চাই।” ইস্টবেঙ্গলের প্রতি অভিমানটাই যেন ঝড়ে পড়ল পেনের কথায়। পেনকে বাদ দিলে মহমেডানের মাঝ-মাঠের অবশ্য বেহাল দশা। আজিজও এ কথা স্বীকার করে নিলেন। “এটা ঠিক যে, পেনকে ছাড়া দিশেহারা হয়ে পড়ছে মাঝ-মাঠ। পেনের পাশে যদি এক জন ভাল মিডফিল্ডার পাওয়া যায় তবে দলের সুবিধা হবে,” বললেন মহমেডান কোচ। |
এ দিন টোলগেরা জিতলেও টিমের পারফরম্যান্স বা কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। গগনদীপ সিংহকে ব্লকার হিসেবে ব্যবহার করে ৫-৩-২ স্ট্র্যাটেজিতে দল সাজিয়েছিলেন মহমেডান কোচ। বিপক্ষের কোচ রঘু নন্দী যেখানে পুরোটাই রক্ষণাত্মক রণকৌশল অবলম্বন করেছিলেন, সেখানে আক্রমণের ঝড় তোলার বদলে আজিজও কেন মাত্রাতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হয়ে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর দেখা গেল দীপেন্দু বিশ্বাসকে তুলে ৪-৩-২-১ স্ট্র্যাটেজিতে চলে গেলেন আজিজ। অথচ প্রথমার্ধেই এক গোলে এগিয়ে ছিল মহমেডান। সেই একটিমাত্র গোল ধরে রাখারই যেন চেষ্টা চালিয়ে গেলেন টোলগেদের কোচ। আজিজের যুক্তি অবশ্য, “আই লিগ শুরুর আগে আমি সব রকম স্ট্র্যাটেজিতে খেলিয়ে দেখে নিতে চাই, কোনটার সঙ্গে আমার ছেলেরা মানিয়ে নিতে পারছে।”
মহমেডান জার্সি গায়ে এ দিন অভিষেক ম্যাচ ছিল টোলগে ওজবের। তবে পুরনো ছন্দে পাওয়া গেল না অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারকে। পেনের সঙ্গে বোঝাপড়া আটুট থাকলেও গোল করার ক্ষিপ্রতা যেন কমে এসেছে টোলগের। দূরপাল্লার শট থেকে নিখুঁত টাইমিং-এ যেখানে পেন জালে বল জড়াচ্ছেন হাসতে হাসতে, সেখানে গোলের সহজতম সুযোগগুলো নষ্ট করতে দেখা গেল টোলগেকে। যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধের পনেরো মিনিট পর টোলগেকে তুলে জোসিমারকে নামাতে বাধ্য হন আজিজ।
তবে আজ বৃহস্পতিবারই দিল্লি পৌঁছে বিকেল সাড়ে তিনটেয় ডুরান্ডে আর্মি গ্রিন-এর বিরুদ্ধে নামতে হবে টোলগে-পেনদের। তবে আজিজ বলছেন, “এতে কোনও সমস্যা হবে না।”
মহমেডান: সারথ, ধনরাজন, বরুণদীপ, সন্দীপ, গগনদীপ, নৌসত, অ্যান্টনি, পেন, ইমরান (মণিরুল), টোলগে (জোসিমার), দীপেন্দু (গৌরাঙ্গ) |