বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে দিন কয়েক আগেই, অথচ বেহালার বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। যা চরম দুশ্চিন্তায় ফেলেছে কলকাতার মেয়রকে। তিনি স্বয়ং ওই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে শুনতে হচ্ছে নানা অভিযোগও। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতেই বুধবার পুরসভার তিন মেয়র পারিষদ ও পুর কমিশনার-সহ প্রায় সব বিভাগের অফিসারদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন সেচ, কেএমডিএ, কেইআইপি, পূর্ত, বন্দর ও রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের প্রতিনিধিরাও। পরে মেয়র বলেন, “বেহালার কিছু এলাকায় বাড়ির সামনে এখনও জল জমে। মণিখাল, বেগোর খাল ও চড়িয়াল খাল জল টানতে না পারায় ওই সমস্যা। অবিলম্বে সেচ দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
পুর সূত্রের খবর, এ বার বৃষ্টিতে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় জল জমলেও ঘণ্টাখানেকেই বেরিয়ে যায়। তবে দক্ষিণে বাইপাস সংলগ্ন এলাকা-সহ বেহালা ও জোকার বেশ কিছু এলাকায় এখনও জল সামনেই পুজো। ফের বৃষ্টি হলে সমস্যায় পড়বেন ওই সব এলাকার বাসিন্দা। যা নিয়ে আরও বেশি চিন্তা পুর প্রশাসনের। |
পুরসভার এক অফিসার জানান, বেহালার ১২৩, ১২৪, ১২৮ এবং ১২৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং নতুন করে পুরসভার অধীনে আসা জোকার ১৪২, ১৪৩, ও ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতে এখনও জল রয়েছে। মেয়র জানান, ওই সব এলাকা মূলত গ্রামাঞ্চল। নিকাশি ব্যবস্থা ততটা উন্নত নয়। রাস্তার পয়ঃপ্রণালীগুলিরও পরিসর কম। তা বাড়াতে সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। তা ছাড়া, খালে জল না থাকায় আক্রার পাম্পিং স্টেশনটিও ঠিক ভাবে কাজ করছে না। এ সবই জল জমার অন্যতম কারণ বলে উঠে আসে বৈঠকে।
পুজোর আগে শহরের বিভিন্ন রাস্তা সারাই নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত ঘোষ বলেন, “মণ্ডপমুখী ছোট-বড় রাস্তা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারানো হবে। সেই কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে কলকাতা পুলিশের দেওয়া ২৫৩টি রাস্তার তালিকা।” এ ছাড়া, ডায়মন্ড হারবার রোড, জেম্স লং সরণি, ই এম বাইপাস, তারাতলা রোড, সিজিআর রোড ও স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড সারানো নিয়েও আলোচনা হয়। মেয়র জানান, জেমস লং ও ডায়মন্ড হারবার রোড পূর্ত দফতরের, ইএম বাইপাস কেএমডিএ-র, তারাতলা রোড বন্দরের অধীনে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে রাস্তাগুলি দ্রুত সারানোর কথা বলা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রোডের যে অংশ মেট্রো রেলের জন্য খারাপ হয়েছে, তা সারাবে রেল। রাস্তাগুলিতে আপাতত প্রাথমিক মেরামতির কাজ হবে। পুজোর পরে ওই সব রাস্তার পুরো কাজ হবে বলে পুর-প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। |