এডে চিডি, জেমস মোগা, কেভিন লোবোদের জন্য মার্কোস ফালোপার নতুন ফতোয়া— “কথা কম, কাজ বেশি।”
এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। ১৭ সেপ্টেম্বর যুবভারতীতে ইন্দোনেশিয়ার সেমেন পাদংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে দলের চোট-আঘাত সমস্যা যেমন লাল-হলুদের নতুন কোচকে চিন্তায় রেখেছে, তেমনই ফালোপার কোচিং স্টাইলের সঙ্গে এখনও ফুটবলাররা পুরোপুরি সড়গড় হয়ে উঠতে পারেননি, ফালোপার কাছে এটাও যথেষ্ঠ চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার অনুশীলনের পর চিডি যেমন মর্গ্যানের তুলনা টেনে বললেন, “মর্গ্যানের কোচিং পদ্ধতি অনেক সহজ-সরল ছিল। ফালোপার স্টাইল একটু জটিল। আমরা এখনও নতুন স্টাইলের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে উঠতে পারিনি। একটু সময় তো লাগবে।”
কিন্তু ফুটবলারদের এ ধরনের মন্তব্য একেবারেই পছন্দ করছেন না ব্রাজিলিয়ান কোচ। তাই এ দিন অনুশীলনের পর পরিষ্কার বলে দিলেন, “কথা কম বলে, ফুটবলাররা এখন শুধু খেলায় মনোযোগ দিক।”
এএফসি কাপের ম্যাচের আগে সুয়েকা আর মোগাকে একশো শতাংশ ফিট করে তোলার জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। এ দিন দুই বিদেশিই দলের সঙ্গে পুরো অনুশীলন করলেন। এমনকী ম্যাচও খেললেন। মার্কোস ফালোপা অবশ্য বললেন, “সুয়েকা বা মোগা, কারও ফিটনেসেই আমি খুশি নই।” মোগা আবার যুবভারতী ছাড়ার আগে বলে গেলেন, “আমি এখন পুরো ফিট। কোচ খেলালে ৯০ মিনিট খেলে দেব।”
এএফসি-র ম্যাচের জন্য দল পুরো তৈরি কি না, তা ৮ সেপ্টেম্বর দেখে নিতে চান কোচ। কলকাতা লিগের ম্যাচকে এই মুহূর্তে আলাদা গুরুত্ব না দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচ হিসেবেই দেখছেন ফালোপা। বলেও দিলেন, “দল তৈরি কি না সেটা তো ৮ তারিখ বুঝতে পারব। ওই ম্যাচে আমি দেখে নিতে চাই ফুটবলাররা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।”
কোচ-ফুটবলারদের মতো লাল-হলুদ কর্তাদেরও পুরো ফোকাসটাই এখন এএফসি-র কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের দিকে। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে কর্তারা আবেদন জানিয়েছেন, ম্যাচের সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। উল্লেখ্য, ২০১২ ও ২০১৩ সালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ইতিমধ্যেই দু’বার শাস্তি পেয়েছে আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। পাঁচ ও ছয় হাজার করে জরিমানাও দিতে হয়েছে। এ বার তাই আগে থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক কর্তারা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করছেন। ক্রীড়ামন্ত্রীরও সাহায্য চেয়েছেন।
অনুমতি পেলে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীও গ্যালারিতে মোতায়েন রাখতে চান কর্তারা। যে কোনও দাহ্য বস্তু, বোমা-পটকা— সহ কী কী নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না, তার একটি তালিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি ছেপেছে ইস্টবেঙ্গল। যেটা বিলি করা হবে। টিকিটেও থাকছে সেই তালিকা। এ দিকে, এফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের জন্য টিকিটের দাম ধার্য হয়েছে যথাক্রমে ২০০, ১৫০ ও ১০০ টাকা।
|