তাঁকে বাদ দিয়েই টিম মিটিং করেছিলেন চিডি-ওপারারা। যা নিয়ে হঠাৎই গুঞ্জন বেড়ে গিয়েছিল ময়দানে।
সেই মিটিংয়ের ৪৮ ঘণ্টা পরে অবশেষে মুখ খুললেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মার্কোস ফালোপা। বললেন, “আমি হয়তো ফুটবলারদের সঙ্গে পার্টি করি না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ফুটবলারদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল নয়। বরং আমাদের দলের সকলে একটা পরিবারের মতো।”
এখানেই না থেমে লাল-হলুদ কোচ আরও বললেন, “আমাদের পিছনে কে কী বলল তা নিয়ে না ফুটবলাররা, না আমি কেউই ভাবিত নই।”
চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই উধাও ‘ক্লোজড ডোর’। ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে ফের অবারিত দ্বার সংবাদমাধ্যমের। তবে এ দিন আর ইস্টবেঙ্গল মাঠে নয়। চিডি-ওপারাদের অনুশীলন ছিল যুবভারতীতে। সকালে যখন স্টেডিয়ামে ঢুকছেন লাল-হলুদের ব্রাজিলীয় কোচ, মাঠে তখন এক ডজন গোলের ম্যাচ খেলছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান। প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়ার ফাঁকে ফালোপার মুখে তখন স্মিত হাসি।
ওডাফাদের অনুশীলন ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে নেমে পড়ল ওপারা-গুরবিন্দররা। সেখানেই ওপারাকে বাড়িমুখো ওডাফার প্রশ্ন, “ভিসা সমস্যা কাটিয়ে কলকাতায় কী ভাবে এলে?” যুবভারতীর সিন্থেটিক ট্র্যাকে তখন ফিটনেস কোচ আমেরিকোর তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ম আপ সারছেন জেমস মোগা এবং সুয়োকা। দু’জনেরই পেশিতে চোট। মোগার হ্যামস্ট্রিংয়ে। সুয়োকার কাফ মাসলে। আধঘণ্টা পরে দু’জনেই অবশ্য ছুটলেন ডাক্তার দেখাতে।
দল সাজিয়ে ফালোপা তখন কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে তৈরি। এ দিনও ম্যাচে সৌমিককে প্রথমে স্টপারে, পরে লেফট ব্যাক এবং মাঝমাঠে খেলালেন কোচ। কুড়ি মিনিট করে চার অর্ধের ম্যাচে লেন, চিডির গোলে ২-০ জিতল লাল-হলুদ।
ম্যাচ শেষে ফালোপা বললেন, “দীর্ঘ মরসুমে কখন কার্ড সমস্যা, চোট, জাতীয় শিবির ভোগাবে তা জানা নেই। তাই সবাইকেই দেখে নিচ্ছি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে আমাদের দেশের কোচ পাহিরা অনুশীলনে তো রোজ রোমারিওকে মিডফিল্ডে খেলাতেন। ম্যাচে কিন্তু রোমারিও স্ট্রাইকার হিসাবেই নামত।”
ফালোপার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত ইস্টবেঙ্গল লেফট ব্যাক সৌমিক বলছেন, “গত ন’বছরে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে বহু ম্যাচ স্টপারে খেলেছি। কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না।” আর এক সিনিয়র আলভিটো ডি’কুনহাও বলছেন, “প্রাক-মরসুম অনুশীলন ম্যাচেই তো কোচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। যেমন চিডিকে কয়েক দিন নীচ থেকে খেলাচ্ছিলেন ছন্দে আনার জন্য। আসল ম্যাচে কিন্তু চিডি আমাদের স্ট্রাইকারই।”
ফালোপার চিন্তা জাতীয় দলের পাঁচ ফুটবলার-সহ মোগা, সুয়োকার চোট পাওয়া। প্রথম দলের এই সাত ফুটবলার অনুশীলনে না থাকায় তাই প্ল্যান-বি তৈরি রাখছেন ব্রাজিলীয় কোচ। বলছেন, “নতুন সিস্টেমে প্রয়োজনে দলে কিছু পরিবর্তন হতেই পারে। তবে চটজলদি কিছুই নয়।”
|