সাতসকালেই ইস্টবেঙ্গলের স্বয়ংক্রিয় সিংহ দরজা বন্ধ! ভিতরে চলছে অনুশীলন।
ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের জমানা কি ফিরে এল ইস্টবেঙ্গলে? গেটের ফাঁক দিয়ে মুখ বাড়াতেই ছুটে এলেন এক ক্লাব কর্মী। জানিয়ে দিলেন, ফালোপার নির্দেশ। অনুশীলন শেষ না হলে কোনও মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
হঠাৎ-ই কেন দিলখোলা ব্রাজিলিয়ান কোচের এই ফতোয়া?
বুধবার সকালে যুবভারতীতে অনুশীলনের পর কোচকে ছাড়াই টিম মিটিং করেছিলেন চিডি-অ্যালভিটোরা। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বেজায় চটেছেন লাল-হলুদ কোচ। তাই মর্গ্যান ফরমান ফের ফিরেছে ইস্টবেঙ্গলে। অতীতে তাও অনুশীলনের শুরুতে ক্যামেরাম্যানদের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ থাকত। এ দিন ব্রাজিলীয় কোচের নির্দেশে তাও বাতিল। দরজা যখন খুলল তখন অনুশীলন শেষে বাড়ির মুখে ফুটবলাররা। সবার মুখে কুলুপ। |
দেড় ঘণ্টার অনুশীলন শেষে বেরোবার মুখে লাল-হলুদ কোচ সাংবাদিকদের কার্যত এড়িয়েই গেলেন। ফলের রসে চুমুক দিতে দিতে গাড়ি স্টার্ট করার ফাঁকে বলে যান, “আপনাদের সকলকে সুপ্রভাত। আজ ক্লোজড ডোর ছিল। কাল অনুশীলনের পর আপনাদের সঙ্গে কথা হবে।” তার আগে অবশ্য ক্লাবের সহ সচিব-ডাক্তার শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্তর সঙ্গে ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে আলোচনা করে ফেললেন ফালোপা। শান্তিবাবু বললেন, “এএফসি কাপের জন্য গোপনে প্রস্তুতি সারছে দল। কোনও সমস্যা আছে কি না জানতে এসেছিলাম।”
বছর দেড়েক আগে এই ইস্টবেঙ্গল মাঠেই গুরবিন্দর সিংহ এবং টোলগের হাতাহাতির পর মর্গ্যান শুরু করেছিলেন ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলন। কিন্তু এ বার আবহ অভিমান ও খেদের। এ দিন সকালে অনুশীলনে নামার আগে প্রথামাফিক টিম মিটিংয়ের পর ওপারা-সৌমিকদের ডেকে ফালোপা বলেন, “কোনও জায়গায় সমস্যা হলে সরাসরি আমাকে জানাও।”
অনুশীলন যত এগিয়েছে অরক্ষিত এরিয়ান গ্যালারির ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে চেনা মেজাজেই দেখা গিয়েছে ফালোপাকে। মঙ্গলবার ছিল সৌমিক দে-র জন্মদিন। ইস্টবেঙ্গল লেফট ব্যাকের প্রিয় দল আবার ব্রাজিল। তাই সৌমিকের জন্য এ দিন হাতে করে আনা ব্রাজিলের জার্সি তুলে দেন কোচ। যা দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ফুটবলারদের মধ্যে। ছুটে আসেন চিডি-ওপারা। কোচের দিকে হাত নেড়ে দুই নাইজিরীয় ফুটবলার বলতে থাকেন, “সৌমিক যেমন জন্মদিনের উপহার পেল, তেমন আমাদেরও জন্মদিনে ব্রাজিলের জার্সি চাই।” যা শুনে হেসে ফেলেন লাল-হলুদ কোচ। শুক্রবার যুবভারতীতে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার চোট পাওয়া মোগা ম্যাচে খেলতে পারেন। |