প্রবল চেষ্টা করেও ফ্লাশিং মেডোয় এ বার মারিয়া শারাপোভা থেকে মারিয়া সুগারপোভা হওয়ার অনুমতি পাননি। কিন্তু মারিয়া শারাপোভা-ও থাকছেন না চার দিন বাদেই শুরু যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে! যে ডান কাঁধে বছর তিনেক আগে অস্ত্রোপচারের জন্য ২০০৮ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন আর ২০০৯ অস্ট্রেলীয় ওপেন খেলতে পারেননি তিনি, সেই ‘সার্ভিং’ কাঁধের চোটেই কেরিয়ারে দ্বিতীয় বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন থেকে সরে দাঁড়াতে হল শারাপোভাকে। যে তিতকুটে অনুভূতিতে ‘সুগারপোভা’-র মোড়কও আর কাজ দেবে না!
গত দশ দিন ধরে শারাপোভা টেনিস এবং টেনিস-বহির্ভূত কারণেও খবরের শিরোনামে। উইম্বলডনে দ্বিতীয় রাউন্ডে একশোর বেশি র্যাঙ্কিংয়ে থাকা প্লেয়ারের কাছ হারার পর গত সপ্তাহে সিনসিনাটিতে প্রথম ম্যাচে নেমেই ‘আমেরিকার নতুন সেরেনা’ স্লোয়ানে স্টিফেন্সের কাছে হার! সেই একটা ম্যাচেই শারাপোভার নতুন কোচ ছিলেন জিমি কোনর্স। |
গ্র্যান্ড স্ল্যামে
মাশার অনুপস্থিতি |
• ২০০৮ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন (রোটেটরি কাফ ছিঁড়ে যাওয়ায়)
• ২০০৯ অস্ট্রেলীয় ওপেন (কাঁধে অস্ত্রোপচারের জন্য)
• ২০১৩ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন (ডান কাঁধের চোট) |
|
|
কিন্তু এক ম্যাচ পরেই হেভিওয়েট কোচকে খারিজ করে দেন টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল। তার পর নিজের নামাঙ্কিত ক্যান্ডির অভিনব প্রচারের উদ্দেশ্যে এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে পদবি বদলে শারাপোভা থেকে সুগারপোভা নামে খেলতে চেয়ে একেবারে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বসা! কিন্তু সেই ক্লাইম্যাক্স যে হঠাৎ অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্সে পরিণত হবে বোধহয় রুশ টেনিস সুন্দরী নিজেও বোঝেননি।
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে তৃতীয় বাছাই শারাপোভাকে গতকালও আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ট্রেনিং করতে দেখা গিয়েছে। বাবা ইউরির তত্ত্বাবধানে। পেশাদার কোচ-হীন শারাপোভার ট্রেনার এখন তাঁর বাবা-ই। কিন্তু রাত পোহাতেই ছাব্বিশ বছর বয়সি কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্লাম জয়ীর ফেসবুক মারফত গোটা টেনিস দুনিয়া জেনে যায়, যুক্তরাষ্ট্র ওপেন এ বার অনেকটাই গ্ল্যামার হারাচ্ছে। শারাপোভাই নেই ফ্লাশিং মেডোয়। “উইম্বলডনের পর থেকে সমস্ত রকমের চেষ্টা করেছি যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের জন্য। তা সত্ত্বেও কাঁধের পুরনো চোটের থেকে পুরো সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য সময়টা আমার কাছে যথেষ্ট ছিল না। প্রচুর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছি। নানান চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছি। টরন্টো আর স্ট্যানফোর্ডে না খেলে রিহ্যাব চালিয়ে গিয়েছি। তাতেও পারলাম না! ” ফেসবুকে মন্তব্য মাশা-র। |