ঘরের মাঠে দু’শোতম টেস্ট খেলে তিনি অবসর নিতে পারেন। এই জল্পনা যখন ক্রিকেট-বিশ্বে উড়ছে, তখন তাতে জল ঢেলে দিলেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর। জানিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কোনও তাড়া নেই। “এখনই এই নিয়ে কোনও কিছু ঘোষণা করার সময় আসেনি,” বলে দিলেন সচিন।
একটি টিভি চ্যানেলে এ দিন সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজের অবসর প্রসঙ্গে সচিন বলেন, “এত তাড়া কীসের? আমি সব সময় একটা নীতি মেনে চলি। আগেভাগে সামনে লাফিয়ে পড়া নয়। গোটা কেরিয়ারে আমি এই ফর্মুলা মেনে এসেছি।”
ক্রিকেট ভক্তদের কাছে তিনি ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’। কিন্তু সচিন বলছেন, “আমি ঈশ্বর নই। শুধু ক্রিকেট খেলি। উপরওয়ালার আশীর্বাদ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত জীবনে যা কিছু পেয়েছি তার জন্য ধন্যবাদ। আমরা সবাই ভুল করি। যদি আমি ভুল না করতাম, কখনও আউটই হতাম না।”
প্রায় আড়াই দশকের কেরিয়ারে তাঁর মতো সাফল্য খুব কম ক্রিকেটারই পেয়েছেন। প্রত্যেক মাচের আগে নিজেকে কী করে প্রস্তুত করেন? কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে সচিন বলেন, “প্রত্যেক ম্যাচের আগে কিছুটা প্রস্তুতি তো থাকেই। সাধারণ জীবনেও মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন।”
ক্রিকেট বহু বিতর্কে কলঙ্কিত হলেও তিনি এত বছর ধরে মানুষের বিশ্বাস কী করে ধরে রেখেছেন? “স্কুলের সময় থেকেই আমরা উৎসব করতাম সহজ-সরল ভাবে। যখনই আমি কিছু অ্যাচিভ করতাম ঈশ্বরকে মিঠাই উৎসর্গ করা হত। আমার দাদা সবসময় বলেন, মানুষকে ম্যাচটা নিয়ে কথা বলতে দাও। তুমি এগিয়ে যাও। আমি লাইফস্টাইলে ভারসাম্য রেখে চলি।” |
১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময় বাবা মারা গেলেও শোক করার সময় ছিল না সচিনের। তিন দিন পরেই কিনিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর সেই ১৪০ রানের ইনিংস ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে। বাবার প্রসঙ্গ উঠতেই সচিন বলেন, “বাবাকে মিস করি। অনেক দিন হয়ে গেল বাবাকে হারিয়েছি। তার পর অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে জীবনে। বাবার অভাব বোধ হয়। তবে বাবার অনেক সুন্দর স্মৃতি রয়েছে। অনেক সময় অতীতে ফিরে যাই। বাবার কথা ভাবি। কিন্তু কিছু জিনিস কখনও বদলানো যায় না।”
আর তাঁর স্বপ্নের গাড়ি? সবাই মাস্টার-ব্লাস্টারের গাড়িপ্রেমের কথা জানেন। সচিন বলে ওঠেন, “যখন আমি তরুণ ছিলাম, আমার স্বপ্নের গাড়ি ছিল মারুতি ৮০০!”
|