তৃণমূলের গরহাজিরাতেই রেলশহরে পুরবোর্ড গঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বিরোধী তৃণমূলের অনুপস্থিতেই পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন করে পুর-পারিষদদের শপথ গ্রহণ হয়ে গেল কংগ্রেস পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভায়।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝাপেটাপুরে পুরভবনের সভাগৃহে মোট ৮টি বিষয়ে পাঁচ কাউন্সিলরকে পুর-পারিষদের পদ দেওয়া হয়। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে। ছিলেন উপ-পুরপ্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, শহর কংগ্রেস সভাপতি অমল দাস। তৃণমূল সদস্যরা না থাকলেও বামেদের তিন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। |
|
শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন পুরপ্রধান।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে খড়্গপুর পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। গত ৫ অগস্ট পুরসভায় অনাস্থা ভোটে ১৬-১৪ ব্যবধানে ক্ষমতাচ্যুত হয় তৃণমূল। পুরসভা দখল করে তাঁদের এক সময়ের জোটসঙ্গী কংগ্রেস। তাঁদের পাশে দাঁড়ান এক নির্দল ও এক বিজেপি কাউন্সিলর। ওই দিন পুরপ্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের রবিশঙ্কর পাণ্ডে। এর পর ১৩ অগস্ট উপ-পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। তবে পুর-পারিষদ কে হবেন তা নিয়ে সংশয়ে পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন আটকে ছিল। এ দিন দলের নির্দেশে পুর পারিষদের বাছাই করেন পুরপ্রধান রবিশঙ্করবাবু। পুর পারিষদ হিসেবে কল্যাণী ঘোষ (পুরকর ও রাজস্ব), সনাতন যাদব (পূর্ত), রীতা শর্মা (স্বাস্থ্য ও জঞ্জাল), বি মুরলীধর রাও (লাইসেন্স ও আলো) এবং ভেঙ্কট রামন (জল) শপথ গ্রহন করে। এ ছাড়া তপনকুমার বোস (আইপিপি), পারমিতা ঘোষ (স্বর্ণজয়ন্তী স্ব-রোজগার যোজনা) ও অমরনাথ চ্যাটার্জীকে (সাক্ষরতা) দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “আমি অসুস্থ থাকায় একটু সময় লেগেছে পুর-পারিষদ গঠনে। তবে দলের সর্ব সম্মতিক্রমেই চেয়ারম্যান ইন-কাউন্সিল ও কাউন্সিলর ইন-চার্জ বাছাই হয়েছে।” |
|
বোর্ড গঠনের পর খড়্গপুরে।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিকে এত দিন পুরপ্রধান নির্বাচন, উপ-পুরপ্রধান নির্বাচন কোনও কিছুতেই যোগ দেয়নি চার বাম কাউন্সিলর। কিন্তু এ দিন পুর-পারিষদের শপথ গ্রহণে এক বহিস্কৃত সিপিআই কাউন্সিলর-সহ তিন সিপিআই কাউন্সিলরকে অনুষ্ঠানে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলর মমতাজ কুদ্দুসি বলেন, “আমরা আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পেয়েছিলাম। তা ছাড়া পুর-পারিষদ না থাকায় এলাকার কাজে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই কে দায়িত্ব পাচ্ছেন তা দেখতে এসেছিলাম।”
পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের তুষার চৌধুরী এ দিন বলেন, “কংগ্রেস যে ভাবে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়েছে তা আমরা মানছি না। আমাদের মৃত কাউন্সিলর কমলকুণ্ডুর বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে কংগ্রেস অপমান করেছে।” আর সিপিআই কাউন্সিলদের উপস্থিতি নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “বাম-কংগ্রেস বরাবর এক থালায় ভাত খেয়ে ওপরে বিরোধিতা দেখায়।” পুরপ্রধানের জবাব, “মৃত কাউন্সিলরের বাড়িতে চিঠি গেলে তা দুঃখজনক।” |
পুরনো খবর: খড়্গপুরে আজ পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন |
|