|
|
|
|
পিংলা |
স্কুলের হাল ফিরিয়েই জাতীয় শিক্ষকের সম্মান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জাতীয় শিক্ষক হিসেবে এ বার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার সাহারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মলকান্তি দাস। কাল, বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। পুরস্কার নিতে রওনা হয়ে গিয়েছেন ওই শিক্ষক। মঙ্গলবারই তিনি নয়াদিল্লিগামী ট্রেনে ওঠেন।
নির্মলবাবু বলছিলেন, “সকলের সহযোগিতা নিয়ে স্কুল চালানোর চেষ্টা করেছি। উন্নয়ন করেছি। গ্রামবাসীরা পাশে ছিলেন বলেই সব কাজ এগোনো সম্ভব হয়েছে।” তাঁর কথায়, “রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে কখনও কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাব, ভাবিনি। এ বার সুযোগ এসেছে। শুধু দেখা নয়, তাঁর হাত থেকে পুরস্কারও নেব। আমি আপ্লুত।”
নির্মলবাবুর বাড়ি পিংলার কুসুমদা অঞ্চলের বীজুপুর গ্রামে। ১৯৭৩ সালে শিক্ষকতায় হাতেখড়ি। চার বছর পর, ১৯৭৭ সালে সাহারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষকের পদে যোগ দেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন ১৯৯১ সালে। চলার পথে কিছু সমস্যা এসেছে। সহজেই সেই সব সমস্যার সমাধান করেছেন। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু সেই ছোটবেলায়। তখন থেকেই সমাজের জন্য কিছু করার ইচ্ছে ছিল। ইচ্ছে ছিল দুঃস্থ- মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর। আগে পিংলার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা বাড়ি ছিল না। কাঁচা বাড়িতেই পড়াশোনা হত। নব্বইয়ের দশকে পাকা বাড়ি তৈরি হয়। পরে স্কুল ক্যাম্পাসে বাগান গড়ে ওঠে। ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। আর এ বার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। নির্মলবাবু বলছিলেন, “কী যে আনন্দ হচ্ছে বলে বোঝাতে পারব না। সব সময় চেষ্টা করেছি, ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার। আগামী দিনেও যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” খুশির হাওয়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদেও। সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মুর কথায়, “খুব ভাল লাগছে। নির্মলবাবু আমাদের জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন।” |
|
|
|
|
|