গ্রাম গ্রামটাই শোকে একেবারে চুপ করে গিয়েছে। অধিকাংশ বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি। এ ভাবে তিনটে ফুটফুটে মেয়ের মারা যাওয়াটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না গ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার সকালে দেগঙ্গার দেওয়ানআটি, ঝিকড়া ও চটকবেড়িয়া তিনটি গ্রামের ছবিটা ছিল একই রকম। সকলেই প্রতীক্ষায় কখন আসবে দেহ। সোমবার দুপুরে পরীক্ষার পরে বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাতে স্কুলের পাশেই একটা ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির তিন পড়ুয়া চন্দনা মণ্ডল, রূপা সর্দার ও শিপ্রা পাড়ুই সহ কয়েকজন। আচমকাই ঘরের পাশে সজনে গাছে বাজ পড়লে চন্দনা, রূপা ও শিপ্রার। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মর্জিনা খাতুন, পাপিয়া দাস, মন্দিরা কাহার ও শম্পা খাতুন। মঙ্গলবার মৃত তিন ছাত্রীর পরিবারের হাতে তাদের দেহ সৎকারের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে তুলে দেন বসিরহাটের সাংসদ নুরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে মৃত তিন পড়ুয়ার পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে এবং তাদের স্মৃতিতে স্কুলের সামনে পাঁচশো মিটার কাঁচা রাস্তা কংক্রিটের করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। |
অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ করায় ১৯ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ইছামতী নদীর সেতুর উপর থেকে বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা সকলেই কাজের খোঁজেই এ দেশে এসেছে।
|
বারাসতের কামদুনিতে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আট অভিযুক্তকেই জেলে অন্য বন্দিদের থেকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বিচারকের আরও নির্দেশ, ওই অভিযুক্তদের নিরাপত্তায় জেলে যথাযথ পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের খাবার ও জল দেওয়ার আগে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে জেল-কর্তৃপক্ষকে। বিচার ভবনের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (বেঞ্চ-২) সঞ্চিতা সরকার মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ওই আদালতে কামদুনি মামলার বিচার শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও সঞ্জীব দাঁ তাঁদের মক্কেলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগেই বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচার প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করার আবেদনও জানিয়েছে আসামি পক্ষ। ধর্ষিত ও নিহত কলেজছাত্রীর পরিবারের তরফে আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহরায় এ দিন পাল্টা আবেদনে বলেন, বিচার পর্বের ভিডিওগ্রাফির পরিকাঠামো নেই। ভিডিও ফুটেজ আদালতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাতে ওই ছাত্রীর পরিবার ফের অসম্মানিত হতে পারে।
পুরনো খবর: কামদুনি মামলা সরাতে আর্জি অভিযুক্তদের |