উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসাবে মনোনীত হলেন রহিমা মণ্ডল। বছর ৪৩-এর এই মহিলার বাড়ি বনগাঁ থানার পাইকপাড়ায়। পাইকপাড়া-সুটিয়া সড়কের ধারে টালি আর ইটের বাড়ির দেওয়ালে শ্যাওলা জমেছে। স্বামী আনসার আলি মণ্ডলের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০০৮ সালে প্রথম বারের জন্যে জেলা পরিষদের আসনে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন। সেবার ৪,৫০০ ভোটে জিতেছিলেন। এ বার ৬০০০-এরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন।
রহিমা মণ্ডল।
নতুন দায়িত্বে।
|
স্থানীয় পাটসিমুলিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক আনসার আলি এক বার ঘাটবাওর গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে এবং বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়েও জিততে পারেননি। রহিমার কথায়, “স্বামীর পরাজয় আমার মধ্যে জেদ এনে দিয়েছিল। আজ মনে হচ্ছে স্বামীর হারের প্রতিশোধ নিতে পারলাম।” রহিমা মাধ্যমিক পাশ। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। টাউন হলে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রহিমা মণ্ডলের নাম ঘোষণা করেন। রহিমা বলেন, “কোনও দিন ভাবিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতি হব। দিদি আমার প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছেন, তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব। দিদির কথামতো কাজ করব।”
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সৌমেন দত্তকে তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন রহিমা। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “রহিমা কাজের ক্ষেত্রে খুবই সৎ। আমরা আশা করি, ওর নেতৃত্বে জেলায় উন্নয়নেক কাজ আরও গতি পাবে।” জেলার সহ-সভাধিপতি হয়েছেন কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা পরিষদে তৃণমূলের দলনেতা হয়েছেন নারায়ণ গোস্বামী। |