সেই শামিমা শেখেই আস্থা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী। দ্বিতীয় বারের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের দায়িত্ব তুলে দিলেন শামিমার হাতে। মঙ্গলবার দলগত সিদ্ধান্তে শামিমাকেই জেলা সভাধিপতি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর-২ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন শামিমা।
শামিমা শেখ।
পুরনো দায়িত্বেই।
|
জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশের ব্যাখ্যা, ২০০৮ সালে বাম জমানায় তৃণমূল পরিচালিত এই জেলার জেলা পরিষদ প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও উন্নয়নের কাজ করেছে। তা শামিমার নেতৃত্বেই হয়েছে। সেই কারণেই দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শামিমার উপরেই আস্থা রেখেছেন। তবে গত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদ পরিচালনার সময় পারিবারিক জমি ব্যবসায় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে শামিমার নাম জড়িয়েছে। জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “পারিবারিক ব্যবসার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে শামিমাকে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিচ্ছন্ন ভাবে জেলা পরিষদ পরিচালনা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।” তবে এ দিন প্রাথমিক ভাবে ক্যানিং-১ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের আসনে বিজয়ী প্রার্থী শৈবাল লাহিড়ীকে সহ-সভাধিপতি মনোনীত করা হয়। কিন্তু শৈবাল মূলত সোনারপুরের বাসিন্দা। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড সবই সোনারপুরের ঠিকানায়। শৈবালবাবু কতটা সোনারপুর থেকে ক্যানিংয়ে গিয়ে উন্নয়নমূলক কাজের তদারকি করতে পারবেন, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন দলনেত্রী। তার পরই সহ-সভাধিপতির মনোনয়ন স্থগিত হয়ে যায়। জেলা পরিষদের পরিষদীয় দলনেতা ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে মনোনীত হয়েছেন আবু তাহের। তবে পরিষদীয় দলনেতা ভাঙড়-২ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হলেও আদতে তিনি বারুইপুর এলাকার বাসিন্দা। |