বর্ষার ভরা পদ্মার ভাঙনে রানিনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষ প্রমাদ গুনছেন। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হয় নাছোড় বৃষ্টিতে পদ্মার জল ক্রমশ বাড়ছে। ফুঁসে ওঠা পদ্মার পাড় ভাঙতে শুরু করেছে রবিবার রাত থেকেই। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী রানিনগরের রাজাপুর এবং রাজানগর এলাকার দাদুরঘাট এলাকায় ৮টি বাড়ি চলে গেছে পদ্মাগর্ভে। আরও অনেক বাড়ি ভাঙনের মুখে। যদিও স্থানীয় মানুষের দাবি, কমপক্ষে ১৫টি বাড়ি ভেঙেছে। বেশ কয়েকশো বাড়ির ঢিলছোড়া দূরত্বে হাজির হয়েছে ভয়াল পদ্মা। স্থানীয় চর মুন্সি হাই স্কুলও পদ্মায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। |
ভাঙছে পাড়, বাড়ছে উদ্বেগ। —নিজস্ব চিত্র। |
শুধু বসতবাড়ি নয়, অনেকের চাষের জমিও চলে গেছে পদ্মার ভাঙনে। রাজাপুরের গুণেন মণ্ডলের আট বিঘা মাঠের জমি পদ্মার জলে তলিয়ে গেছে। চাষবাসের উপর নির্ভরশীল গুনেনবাবু জীবিকা হারিয়ে অথৈই জলে পড়েছেন।
প্রশাসন আড়মোড়া ভেঙে ভাঙন রোধে তৎপরতা দেখাচ্ছে না। ডোমকলের মহকুমা শাসক প্রশান্ত অধিকারী বলেন, “বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোখা সম্ভব নয়। মানুষের দাবি মেনে বাঁশের খাঁচা তৈরি করে তাতে পাথর দেওয়া চেষ্টা চলছে। এতে হয়তো জলের বেগ কমানো যেতে পারে।” জেলার সেচ ও জলপথ দফতরের সহকারি বাস্তুকার সুরজিৎ দাসও একই সুরে বলেন, “বাঁশের খাঁচা তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে অর্থ। টাকা যোগাড় হলে কাজ শুরু হবে।” ততদিনে ভাঙন আরও চওড়া হবে বলে আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা। প্রশাসন কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকায় চিন্তায় দিন-রাত এক হয়ে গেছে সীমান্তের প্রান্তিক মানুষজনের। |