কয়লার গুণমান নিয়ে এনটিপিসি ও কোল ইন্ডিয়ার দীর্ঘদিনের বিবাদ অবশেষে মিটতে চলছে।
এনটিপিসি প্রায়ই অভিযোগ করত, ইস্টার্ন কোলফিল্ড থেকে আমদানীকৃত কয়লার গুণমান খারাপ। পাথুরে কয়লা মেশানো থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ ব্যাহত হয়। বুধবার ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রদীপ ডাহাকে বলেন, “আমাদের সঙ্গে কোল ইন্ডিয়ার একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক ডিসেম্বর থেকে কোল ইন্ডিয়া যে খনি থেকে এনটিপিসিকে কয়লা সরবরাহ করে, সেই কয়লার মান যাচাই করা হবে। পাশাপাশি এনটিপিসিকে বিক্রি করা কয়লার মানও বিচার করা হবে। দু’য়ের মানের সমতা দেখেই কোল ইন্ডিয়াকে টাকা দেওয়া হবে।”
ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঝাড়খন্ডের ইস্টার্ন কোলফিল্ডের রাজমহলের ক্যাপটিভ কয়লাখনি থেকে বছরে ১ কোটি ৬ লক্ষ টন কয়লা আমদানি করে। কয়লার গুণমান নিয়ে এপ্রিলে এনটিপিসি ও ইসিএলের মধ্যে কাজিয়া চরমে ওঠে। ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “দু’পক্ষের তরজাতে ইসিএলকে কয়লার দাম বাবদ বকেয়া না মেটানোর হুমকি দেওয়া হয়। ইসিএলও পাল্টা হুমকি দিয়ে জানায়, প্রয়োজনে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। আসলে চুক্তি অনুযায়ী ইসিএলের ৫০০০ কিলো ক্যালরিক প্রতি কিলোগ্রাম গুণমানের কয়লা দেওয়ার কথা। কিন্তু পাথর মেশানো কয়লার মান ৩৫০০ কিলো ক্যালরিকেরও নীচে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন মার খাচ্ছে। নতুন চুক্তি বাস্তবায়িত হলে এই সমস্যা মিটবে।” ইসিএলের কোয়ালিটি কন্ট্রোলের জেনারেল ম্যানেজার অমিত ধর বলেন, “ইসিএলের রাজমহল কোলিয়ারি থেকে মানসম্পন্ন কয়লাই এনটিপিসিকে দেওয়া হয়। তবু কেন বার বার এ ধরনের অভিযোগ ওঠে, তা বলতে পারব না।” |