এমন জানলে স্টুয়ার্ট ব্রড সেই ‘সাহসী’ স্বীকারোক্তি করতেন কি না, কে জানে। ইংরেজ ক্রিকেট তারকাকে এ বার ‘জোচ্চোর’ আখ্যা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ ডারেন লেম্যান। বললেন, “নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ওকে কাঁদতে হবে।” ট্রেন্টব্রিজে তাঁর ব্যাট ছুঁয়েই বল গিয়েছিল ব্র্যাড হাডিনের গ্লাভসে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আম্পায়ারের ভুলে তিনি আউট হননি। এই নিয়ে তখন তুমুল বিতর্ক হলেও পরে অস্ট্রেলীয় বিপর্যয়ের ধাক্কায় তা ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু মঙ্গলবার ব্রিটিশ মিডিয়ায় ব্রডের স্বীকারোক্তির পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহল রীতিমতো ফুঁসছে। আর তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে লেম্যানের এই মন্তব্য।
ব্রডের অপরাধের ক্ষমা নেই, পরিষ্কার জানিয়েছেন লেম্যান। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের দলের ছেলেরা ঘটনাটা ভুলে যায়নি। ওরা তো যা বলার বলেইছে। আশা করি অস্ট্রেলিয়ার মানুষও ছেড়ে কথা বলবে না। ব্রড যেটা করেছে, তা জোচ্চুরি। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় আমার সায় নেই ঠিকই। কিন্তু কেউ যদি স্লিপে পরিষ্কার ক্যাচ দিয়েও দাঁড়িয়ে থাকে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।” এক সময় শ্রীলঙ্কার তারকা স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরনকে চাকিং ও বর্ণবৈষম্য নিয়ে বেনজির ভাবে বিরক্ত করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীরা। লেম্যানের মন্তব্যের পরে বছরের শেষে ব্রডকে নিয়েও এমনটা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। লেম্যান নিজেও বলেছেন, “আশা করি অস্ট্রেলিয়ার মানুষ এর উপযুক্ত জবাব দেবে। এই গ্রীষ্মে যখন ওরা অস্ট্রেলিয়ায় যাবে, তখন শুরু থেকেই ওকে এই জবাব দেওয়া শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত না ওকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসতে হয়!” সঙ্গে যোগ করেছেন, “ব্রড সে দিন যে ভাবে খেলা চালিয়ে গিয়েছিল আর যে ভাবে এখন সেটা নিয়ে বলে বেড়াচ্ছে, তা হাস্যকর। আম্পায়ারদের তো ও রীতিমতো বোকা বানিয়ে ছেড়েছে।” অস্ট্রেলীয় মিডিয়ায় ব্রডের এই স্বীকারোক্তি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে লড়াই জমে গেল বছরশেষের ফিরতি অ্যাসেজও।
|