সব কিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার মুক্তি পেতে পারেন মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক। তাঁর আইনজীবী এ কথা জানিয়েছেন। ২০১১ সালের অগস্ট থেকেই তিনি জেলবন্দি। বিচারাধীন বন্দি হিসাবে জেলে থাকার সর্বোচ্চ মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলির কাজ চলবে।
আপাতত কায়রোর তোরা কারাগারে বন্দি মুবারককে ৪৮ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা হবে। যে সময়ের মধ্যে সরকারি আইনজীবী তাঁর মুক্তির বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন।
মুবারকের মুক্তির ঘোষণায় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটা উঁকি দিচ্ছে, তা হল কোর্টের এই নির্দেশে মিশর আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠবে কি না। ৮৫ বছর বয়সে মুবারকের আর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই ঠিকই। কিন্তু এই সময়েই মুবারকের শত্রু মুসলিম ব্রাদারহুডের একের পর এক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করছে সেনা সমর্থিত সরকার। সে ক্ষেত্রে মুবারকের মুক্তিতে মুসলিম ব্রাদারহুড আরও তীব্র বিক্ষোভের পথে হাঁটবে কি না, সেটাই দেখার। জনতার বিপুল বিক্ষোভে যে মিশরে তিরিশ বছরের একনায়ক শাসক মুবারক গদিচ্যুত হয়েছিলেন, সেই দেশ আবার নতুন রকমের সেনাশাসনের দিকে এগোচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
এর মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের বড় বড় নেতাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে সেনা। যা থেকে দলটিকে ফের নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে। কাল ধরা হয়েছিল তাদের প্রবীণ ধর্মীয় নেতা মহম্মদ বাদিকে। এ দিন আরও দুই নেতা দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন সেনার হাতে। লিবিয়া সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় এক ধর্মীয় নেতা সাফওয়াত হেগাজিকে। ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক দিক দেখেন মৌরাদ আলি। তাঁকে ধরা হয়েছে কায়রো বিমানবন্দর থেকে। এদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ মুসলিম ব্রাদারহুড।
দেশের টালমাটাল অবস্থায় নতুন প্রস্তাবিত সংবিধান কার্যকরের চেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যে সংবিধান বলে মুসলিম ব্রাদারহুডের অস্তিত্ব মোছার চেষ্টা হতে পারে এবং মুবারক মুক্তি পেলে সে ক্ষেত্রে বিক্ষোভ ঠেকাতে তার দলকেও নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
|