নেতাকে গুলিতে ধৃতেরা জেলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
আদালতে ধৃতেরা।—নিজস্ব চিত্র। |
তৃণমূল নেতা অপূর্ব চৌধুরীকে গুলি করার ঘটনায় ধৃত তিন জনকে চার দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। ধৃতদের বুধবার কাটোয়া আদালতে তোলা হয়। মঙ্গলকোট থানার তদন্তকারী অফিসার তাদের পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করলেও এসিজেএম সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জেল হাজতেরই নির্দেশ দেন। গত সোমবার রাতে কৈচর থেকে শীতলগ্রামে এক দলীয় কর্মীর মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ববাবু। পুলিশ এই ঘটনায় সিপিএম কর্মী নয়ন রায়, চিরঞ্জিত দিরগে ও কুরুম্বা গ্রামের তৈয়ব আলি শেখকে গ্রেফতার করে। অপূর্ববাবু এই তিন জন ছাড়া আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুনগ্রামের নয়ন রায় দলের সর্বক্ষণের সঙ্গী। বাকি দু’জন সাধারণ সিপিএম সমর্থক। এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল সম্পাদক দুর্যোধন সর-সহ স্থানীয় নেতারা। দুর্যোধনবাবু বলেন, “আমাদের সদস্য-সমর্থকদের মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাই আদালতে গিয়েছিলাম।”
পুরনো খবর: অপূর্ব চৌধুরীকে গুলি, সিপিএমের কর্মী-সহ ধৃত তিন
|
হোমে গেল সদ্যোজাত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
রাস্তায় প্রসব হওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে তাকে ও তার মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে নিতে অস্বীকার করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সেই শিশুটির ঠাঁই হল বীরভূমের সিউড়ির একটি হোমে। বুধবার দুপুরে ওই হোমের দু’জন কর্মী এসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে তিনদিনের ওই শিশুটিকে সিউড়ি নিয়ে যান। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মঙ্গলকোটের কৈচরের এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা রাস্তাতেই প্রসব করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলা ও শিশুটিকে সিঙ্গত গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির বিষয়ে ‘অনীহা’ প্রকাশ করে। পরে অবশ্য মঙ্গলকোটের বিডিও সুশান্ত বসুর হস্তক্ষেপে মা ও শিশুকে ভর্তি নেওয়া হয়। পরে মা ও শিশুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘চাইল্ড লাইন’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরাই বর্ধমানের শিশুবিকাশ কল্যাণ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে সদ্যোজাতকে সিউড়ি হোমে পাঠানোর অনুমতি দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটির নাম রেখেছে মঙ্গল। |