|
|
|
|
বক্সায় ভাঙা রাস্তায় ভোগান্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
জলের তোড়ে পিচের আস্তরণ দীর্ঘদিন আগেই উধাও হয়ে গিয়েছে। পাথরের বড়ো-মাঝারি টুকরো ছড়ানো রাস্তায় হেঁটে পাহাড়ে উঠতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। ডুয়ার্সে বক্সা পাহাড়ে সন্তলাবাড়ি থেকে চুনাভাটি মোড় পর্যন্ত প্রায় দুশো মিটার রাস্তা তৈরি হলেও, বর্তমানে সেই রাস্তার বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও।
দশ বছর আগে পূর্ত দফতর ওই রাস্তাটি তৈরি করেছিল। যদিও রাস্তার কোনওরকম রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে অভিযোগ। বক্সা পাহাড়ে উঠতে হলে সন্তলাবাড়ি থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে পারে। বাকি পথ হেঁটেই উঠতে হয়। জনপ্রিয় বক্সা দুর্গ সহ চুনাভাটি, লেপচাখার মত পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও হেঁটে যেতে হয়। সে কারণে ওই দুশো মিটার রাস্তা বেহাল হয়ে থাকায় পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। |
|
সন্তলাবাড়ি থেকে চুনাভাটি মোড়। ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে। |
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা জে ভি ভাস্কর বলেন, “দুশো মিটার পিচের রাস্তার পাশে নর্দমা না থাকায়, পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে। সম্প্রতি পাহাড়ে কিছু কংক্রিটের রাস্তচা তৈরি করা হয়েছে। সান্তালাবাড়ি থেকে চুনাভাটি মোড় পর্যন্ত রাস্তাটিও কংক্রিটের করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।”
পূর্ত দফতরে নির্বাহী বাস্তুকার তাপস সাহা বলেন, “সন্তলাবাড়ি থেকে বক্সা দুর্গ পর্যন্ত রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে টেণ্ডার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সেবার বনদফতরে অনুমতি পাওয়া যায়নি। বনদফতরের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।” বক্সা পাহাড়ের সদর বাজারের বাসিন্দা ইন্দ্র থাপা বলেন, “পাহাড়ের কমলা বাগান, বক্সা দুর্গ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন। দীর্ঘ দিন ধরে সন্তলাবাড়ির রাস্তা বেহাল হয়ে থাকায় পর্যটকরা সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। প্রশাসন সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি।” শুধু পর্যটকই নন, পাহাড়ের উপর প্রায় ১১টি গ্রামের বাসিন্দাদের চাল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পিঠে চাপিয়ে হেঁটে উঠতে হয়। শীতের মরসুমে একইভাবে বক্সা পাহাড়ের কমলা লেবুও ঝুড়িতে ভরে সমতলে নামাতে হয়। এই সব কারণেই রাস্তার বেহাল দশা স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি।
|
পুরনো খবর: বেহাল রাস্তায় ব্যাহত পর্যটন |
|
|
|
|
|