|
|
|
|
ধর্ষণ, ধৃত ২ হেমতাবাদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে এক বধূকে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার মালন ও কান্তোর থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম ইয়ালদারুল হক ও তইয়াব আলি। তাদের বাড়ি কাশিমপুর ও কান্তোর এলাকায়। ইয়ালদারুল বিদ্যুতের লাইন মেরামতের কাজ করেন। তইয়াব পেশায় গাড়ির চালক।
ধৃতদের এ দিন রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক স্মরজিৎ রায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দুই জনকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদি বলেন, “অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করেছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। বধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকাল ৫টায় কালিয়াগঞ্জের হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ দিদির বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাসে করে হেমতাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে নামেন। তাঁর দিদির বাড়ি প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের মালন এলাকায়। তিনি সেখানে ভুটভটি ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “ইয়ালদারুল ও তইয়াব বাইকে চেপে এসে তিনি কোথায় যেতে চান তা জানতে চায়। তারাও মালনে যাবে বলে জানিয়ে তাদের সঙ্গে বাইকে যেতে বলে। পরে রাস্তায় ফাঁকা জায়গায় মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে দুই জন।” তিনি জানান, চিৎকার করায় দুই জন পালানোর চেষ্টা করে। লাগোয়া এলাকায় বাসিন্দা ছুটে এসে বাইক সমেত ইয়ালদারুলকে করে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
ওই মহিলা হেমতাবাদ থানায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ইয়ালদারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ কান্তোর এলাকা থেকে তইয়াবকে গ্রেফতার করে। গৃহবধূ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি অভিযুক্তদের চিনতেন না। তবে এক জন মহিলা নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবে অপরিচিতদের সঙ্গে কেনও বাইকে উঠেছিলেন তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। পুলিশ বধূকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি পুলিশকে জানান, গাড়ি পাচ্ছিলাম না, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তাই ওদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই।
পেশায় ফেরিওয়ালা ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন এই দিন, “কাজে ব্যস্ত থাকায় স্ত্রী একাই দিদির বাড়ি যাচ্ছিল। এমন ঘটনা হবে ভাবতেও পারছি না। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাই।” |
|
|
|
|
|