বেহাল রাস্তা মেরামত না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীন জয়ন্তী ও বক্সার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, বেহাল রাস্তার জন্য এ বার এলাকায় পর্যটকদের ভিড় কমেছে। এমনটা চলতে থাকলে ভরা মরসুমে ফাঁকা পড়ে থাকবে এলাকার বিভিন্ন রিসর্ট। পূর্ত দফতরের আলিপুরদুয়ারের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার তাপস সাহা বলেন, “জানি ওই রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ। কিন্তু অর্থের সমস্যার জন্য মেরামতির কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তী মোড় থেকে সান্তলাবাড়ি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষায় ঝোরার জলের তোড়ে রাস্তার পিচের আস্তরণ উড়ে যাচ্ছে। বক্সার ২৯ মাইল থেকে ৩০ মাইল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা দেখলে মনে হবে নদীর চর। বোল্ডারে ভরা রাস্তা। ধুলোর জন্য চলাচল করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্ত দফতরের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার জানান, প্রতিবছর ঝোরার জলে পিচের প্রলেপ উঠে যাওয়ায় রাস্তাটি কংক্রিট দিয়ে তৈরির করার চিন্তাভাবনা চলছে। অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ঝোরার জল আটকাতে বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ত দফতর। কিন্তু বক্সা এলাকার বাসিন্দারা পূর্ত কর্তাদের ওই বক্তব্যে আশ্বাস্ত হতে পারছেন না। |
তাঁদের প্রশ্ন, কাজ শুরু না করে পরিকল্পনার কথা শুনিয়ে কী লাভ! এলাকার বাসিন্দারা পর্যটন ব্যবসার উপরে ভরসা করে বেঁচে আছেন। তাঁদের বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা নেই বললে চলে। রাস্তা ভাল থাকলে প্রচুর পর্যটক আসেন। এ বারও অনেকে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু রাস্তার পরিস্থিতির কথা শুনে পিছিয়ে যাচ্ছেন। আলিপুরদুয়ার টু্যর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তমাল গোস্বামী বলেন, “গত বছর পর্যটন মরশুমে প্রায় আট হাজার পর্যটক বক্সায় এসেছেন। এ বার রাস্তার যা হাল হয়েছে কী হবে বুঝতে পারছি না।” তিনি জানান, আলিপুরদুয়ার থেকে গাড়ি করে জয়ন্তী মোড় হয়ে পর্যটকদের সান্তলাবাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁরা ট্রেক করে সদর বাজার, বক্সা ফোটর্র্, লেপচাখা, লাল বাংলো, তাসিগাঁও এলাকায় যান। ট্রেকিংয়ের আগে রাস্তায় গাড়ির ঝাঁকুনিতে অনেকে কাহিল হয়ে পড়ছেন। তাই পর্যটকদের উৎসাহ কমছে। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য দুর্গা অধিকারী বলেন, “পর্যটকরা রাস্তা দেখে খেপে ফিরে চলে যাচ্ছেন। ফলে হোম ট্যুরিজমের ক্ষতি হচ্ছে।” |