বালি তোলার সরকারি অনুমতি থাকা সত্ত্বেও নৌকা ও বালি তোলার সরঞ্জাম ভেঙে নষ্ট করায় তাঁদের বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রবিবার বসিরহাট থানায় স্মারকলিপি দিলেন ব্যবসায়ীরা।
ইছামতী নদী থেকে যন্ত্র ব্যবহার করে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার দু’দলের মধ্যে বচসা থেকে সংঘর্ষ বাধে। বোমাবাজিও হয়। জখম হন তিনজন। বালি তোলার নৌকা ও যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “ইছামতী থেকে যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলার জন্য জেলাশাসকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর অনুমোদন দিয়েছে। তার পরেও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক, পুলিশকে বলা হয়েছে।
বসিরহাটে ইছামতী থেকে কোদালের সাহায্যে বালি তোলা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিবাদ বাধে একদল ব্যবসায়ী যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলা শুরু করায়। সম্প্রতি মহকুমাশাসকের দফতরে আলোচনাসাপেক্ষে দু’পক্ষের মীমাংসার চেষ্টাও হয়। কিন্তু কোদাল দিয়ে বালি তোলা শ্রমিকেরা দাবি করেন, যন্ত্র ব্যবহার করা হলে বহু শ্রমিক রুজি হারাবেন। এ দিকে যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলার ব্যবসায়ীদের পক্ষে আব্দুল রশিদ, ওয়াজেদ আলির বক্তব্য, “অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ঋ
ণ নিয়ে বহু বেকার যুবক এই ব্যবসায় নেমেছেন। বালি তোলার সরঞ্জান কেনা থেকে সরকারি অনুমতি সব নিয়েই কাজে নামা হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমাদের উপরে এমন আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই এ সব বন্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করা হোক। এসিডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও অবস্থায় আইন ভাঙা চলবে না। বালি তোলা নিয়ে গোলমালের চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|