ইছামতী নদী থেকে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হলেন তিনজন। সংঘর্ষের সময় বোমাবাজি, নৌকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। আহতদের বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বসিরহাচের চৌরাচর এলাকায়। সংঘর্ষের পর নদী থেকে যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলা ও হামলার প্রতিবাদে বসিরহাট থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রতি দিলে অবরোধ ওঠে।
বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ এবং বালি তোলার বৈধ সরকারি অনুমতিপত্র আছে কি না সব খতিয়ে দেখার পরে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর। দীর্ঘদিন ধরেই ইছামতী নদীতে কোদালের সাহায্যে বালি তোলার কাজ হয়। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন বালি তোলার জন্য যন্ত্র আনায় তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসিরহাটের মহকুমাশাসক দু’পক্ষকে আলোচনায় বসতে বলেন। তার পরেও গোলমাল থামেনি। কোদাল দিয়ে বালি কাটার শ্রমিকদের বক্তব্য, যন্ত্র দিয়ে বালি কাটা হলে বহু শ্রমিক কাজ হারাবেন। তা ছাড়া বাঁধেরও ক্ষতি হবে। অভিযোগ, এ দিন তা নিয়ে কথা বলতে গেলে, এক দল বালি মাফিয়া ওই শ্রমিকদের আক্রমণ করে। বোমা ছুড়তে থাকে। বোমায় আলমগির সর্দার, মসিউর গাজি-সহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পরে রাস্তা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন যন্ত্র দিয়ে বালি তোলার বিরোধীরা। বিক্ষোভকারীদের তরফে গৌতম দে বলেন, ‘‘যন্ত্র ব্যবহার করে বালি তুলে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। অবিলম্বে এই ব্যবস্থা বন্ধ না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”
বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলার জন্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর অনুমতি দিয়েছে।” তবে কেন এমন সমস্যা হল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান। |