বিস্ফোরণে তলিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজ আইএনএস সিন্ধুরক্ষকের ভিতর থেকে আরও এক নাবিকের দেহ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। গত শুক্রবার সিন্ধুরক্ষকের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।
ডুবোজাহাজটির কন্ট্রোল রুম গত মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে সেখান থেকে দেহ উদ্ধারের কাজও বেশ কঠিন। ভিতরের উত্তাপে জল ফুটছিল। তাই ডুবুরিরা ডুবোজাহাজে ঢুকতেই পারেননি। উদ্ধারকাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে। অবশেষে শনিবার সিন্ধুরক্ষকে ঢোকার দ্বিতীয় প্রবেশপথ বের করেছিলেন ডুবুরিরা। রবিবার জলের উত্তাপ আরও কিছুটা কমলে সিন্ধুরক্ষকের সামনের ‘কমপার্টমেন্টে’ ঢোকা সম্ভব হয়েছে। তবে রবিবার আর কোনও দেহ মেলেনি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে ডুবুরিদের।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মুম্বইয়ে বন্দরের অদূরেই দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের জেরে তলিয়ে যায় নৌবাহিনীর প্রথম সারির এই ডুবোজাহাজটি। সেই সময়ে তাতে ১৮ জন ছিলেন। ছ’জনের সন্ধান মিললেও নিখোঁজ আরও ১২ জন নাবিক। তাঁদের কেউই আর বেঁচে আছেন বলে আশা করা হচ্ছে না। উদ্ধার করা দেহগুলি এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে, যে সেগুলিকে চোখের দেখায় শনাক্ত করা অসম্ভব। ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। নৌবাহিনীর মেডিক্যাল বোর্ড ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ১৮ জন নাবিকের পরিবারের লোকেদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছে।
সিন্ধুরক্ষকে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ কেন ঘটেছিল তার কারণ জানার জন্য একটি বোর্ড গঠন করেছে নৌবাহিনী। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই শনিবার রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রগোজিন জানিয়েছেন, সম্ভবত নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের জেরেই তলিয়ে গিয়েছে সিন্ধুরক্ষক। তদন্তে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে রাশিয়ার তরফে ইতিমধ্যেই “ইউনাইটেড শিপ কো-অপারেশন” কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, ডুবোজাহাজ উদ্ধার করার প্রযুক্তি তাদের নেই। বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। |