|
|
|
|
শহরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙবে আগরতলা পুরসভা
আশিস বসু • আগরতলা |
আগরতলা পুর-এলাকার সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। বহুদিন ধরে এ নিয়ে পুরসভার অন্দরে টানাপোড়েন চলছিল। পুর-চেয়ারম্যান প্রফুল্লজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, পুর-এলাকায় কোনও বাড়ি বা বহুতলে বেআইনি নির্মাণ থাকলে তা ভেঙে দেওয়া হবে। কাজ শুরু হবে কয়েক দিনের মধ্যেই।
শহরবাসীকে সচেতন করতে ইতিমধ্যেই সরকারি জমিতে তৈরি ক্লাবঘর, বাড়ি ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে পুরসভা। বেআইনি নির্মাণ ভাঙার অভিযান হয়েছে আগরতলার নর্থ গেটের পুকুর সংলগ্ন এলাকায়। এক পুরকর্মী জানান, পুকুরের পাশে কোনও কোনও বাড়ি বেআইনিভাবে সম্প্রসারিত করা হয়েছে, সে গুলির মালিককে নোটিস ধরানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশ কেউ না-মানলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
এখনও পর্যন্ত শহরে ছ’টি বহুতলে আইনবিরুদ্ধ নির্মাণের প্রমাণ মিলেছে। সে গুলির দাম কয়েক কোটি টাকা। পুর-চেয়ারম্যান বলেন, “ওই বেআইনি নির্মাণগুলিও দ্রুত ভেঙে দেওয়া হবে। বাড়ির মালিক আর্থিক জরিমানা দিতে চাইলেও লাভ হবে না। কারণ, বেআইনি নির্মাণ ‘বাঁচানোর’ রাস্তা পুর-আইনে নেই। কোনও চাপের কাছেই নতি স্বীকার করা হবে না।”
পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেআইনি নির্মাণগুলি এখন খুঁজে বের করা হচ্ছে। এ কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে পুরসভার নিজস্ব তদন্তকারী দল। কখনও কোনও এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেও তদন্ত চলছে। ওই সব বাড়ির মালিককে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুর-কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে নোটিসও ধরাচ্ছে পুরসভা।
বাড়ির লোকেরা বেআইনি নির্মাণ না-ভাঙলে পুরসভা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। সে জন্য খরচ দিতে হবে মালিককেই। পুর-চেয়ারম্যান জানান, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্বতন পুর-কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন কারণে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দেরি হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, পুরসভার নিয়মের তোয়াক্কা না-করে শহরে যে সব বহুতল তৈরি হয়েছে, সে গুলির তালিকা তৈরি হচ্ছে। |
|
|
|
|
|