ঘোষণা অনুযায়ী কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দানের আনুষ্ঠানিক কাজটি সেরে ফেললেন দুবরাজপুর পুরসভার বিদায়ী কংগ্রেস পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুবরাজপুর পুরসভার সভাকক্ষে রাজ্যের মত্স্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে পীযূষবাবুর হাতে দলীয় পতকা তুলে দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূলের জেলা সভপতি অনুব্রত মণ্ডল।
মঞ্চে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, তৃণমূলের দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলনাথ মিত্র, শহরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। তবে শুধু বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষবাবুই নন, তাঁর সঙ্গে দল বদল করলেন পুরসভার বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান, কংগ্রেসের নূর মহম্মদ, কংগ্রেস কাউন্সিলর মির্জা সৌকত আলি, ফকির বাউড়ি এবং গত বার সিপিএমের টিকিটে জেতা দুই কাউন্সিলর দীপালি বগদি ও কল্পনা বাগদি-সহ বেশ কয়েক জন। সভাকক্ষে উপস্থিত জনতার সামনে দল বদল করেছেন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁরা বলেন, “উন্নয়নের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।” অনুব্রত মণ্ডল যেটাকে সময় উপোযোগী এবং সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন। |
এ দিনের সভায় তৃণমূল নেতা ও সদ্য দলে আসা পীযূষ পাণ্ডেদের কথায় একটি বিষয়ই প্রধান্য পেয়েছে, সেটা হল বিরোধী শূন্য পুরবোর্ড গঠন করার অঙ্গীকার। সঙ্গে পুর-এলাকায় দমকলকেন্দ্র তৈরি, প্রতি ওয়ার্ডে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা-সহ পুর-এলাকায় উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দেওয়ার একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। এক কথায় প্রাক নির্বাচনী প্রচার। আর পঞ্চায়েত ভোটের মতো পুরভোটেও সিপিএম-কংগ্রেসের লোকজনকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রতবাবু। তবে এ কথা বলার পর সেটা শুধরে পুনরায় তিনি বলেন, “যে কেউ আমাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন। ক্ষমতা থাকলে জিতে দেখান।”
|