|
|
|
|
বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ডের সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে বাস শ্রমিক সংগঠনগুলি ও বাসস্ট্যান্ডের দোকানদার, ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন। রামপুরহাট মহকুমা গণতান্ত্রিক নাগরিক সমিতির ব্যানারে তাঁরা এ দিন সমবেত হয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরজুড়ে মিছিল বের করেন। পরে, প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
বাসস্ট্যান্ড চত্বরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বাস শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, সম্প্রতি বাসস্ট্যান্ডের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রশাসন ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা অনুমোদন করেছে। কিন্তু, সেই কাজ শুরু হয়নি। স্ট্যান্ড চত্বরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে থাকে। যাত্রীদের দুর্বিষহ ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। প্রখর রোদ কিংবা বৃষ্টির মধ্যে যাত্রীরা চরম নাকাল হন। রাতে আলোর ব্যবস্থা নেই। এমন কী শৌচাগার বা পানীয় জলের ব্যবস্থাটুকুও নেই। তাঁরা জানান, পানাগড়-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ২১ বছর আগে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড চালু হয়। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলা হয়নি। তাঁদের আক্ষেপ, এতখানি জায়গা নিয়ে জেলার আর কোথাও বাসস্ট্যান্ড নেই। ফলে, এই বাসস্ট্যান্ড পরিকল্পনা করে নির্মাণ করা হলে তা জেলার সর্ববৃহৎ বাসস্ট্যান্ড হয়ে উঠবে। স্মারকলিপি নেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, “বাসস্ট্যান্ডের সার্বিক রূপায়ণের ব্যাপারে আমাদের নজর রয়েছে। অল্প কাজ করা হয়েছে। রাতে আলোর ব্যবস্থা করা-সহ অন্যান্য দাবিগুলি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নের দাবি ছাড়াও রামপুরহাট মহকুমা গণতান্ত্রিক নাগরিক সমিতি বেহাল জাতীয় সড়কের সংস্কারের জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়। এ ছাড়া রামপুরহাট শহরে পাথর বোঝাই ট্রাক ঢোকানো বন্ধের দাবি তোলা হয়। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম বলেম, “জাতীয় সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য আমরাও উদ্বিগ্ন। শীঘ্রই জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে।” তিনি জানান, পাথর বোঝাই ট্রাক রামপুরহাট শহরে ঢোকানো বন্ধ রয়েছে। |
|
|
|
|
|